কেউ নির্বাচনের ট্রেন থামাতে পারবে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন চলছে। এ ট্রেন কারো বাধায়, কারো কথায়, কোথাও থামবে না। গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে, যে যত বাধাই দিক‌, কেউ থামাতে পারবে না।’ শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সারা বাংলাদেশে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল নেই, তারপরও নির্বাচনে মনোনয়নপত্র উত্তোলন জমা দেওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু একটি উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে।’

কোন দল নির্বাচনে আসলো আর না আসলো সেটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কিনা এটি আমাদের ভাবনার বিষয়।

বদিউল আলম মজুমদারের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খাগড়াছড়িতে পরিবহন শ্রমিক ৮০ পারসেন্ট বার্ন। সেই আগুনে পোড়া শরীর নিয়ে ঢাকায় এসেছেন চিকিৎসার জন্য, এই নিয়ে তো তারা কোনো কথা বলেন না। দেশের মধ্যে সহিংসতা হচ্ছে, আন্দোলন হচ্ছে, আগুন সন্ত্রাস হচ্ছে এই নিয়ে তাদের মুখে কোনো কথা নেই। অথচ তারা নিজেদেরকে মানব অধিকারের প্রবক্তা বলে দাবি করেন।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন চলছে। এ ট্রেন কারো বাধায়, কারো কথায়, কোথাও থামবে না। গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত এই ট্রেন চলবে, যে যত বাধাই দিক‌। বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে নির্বাচন নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি সারাদেশে।’

‘এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি নামক একটি রাজনৈতিক দল অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর আগেও তারা গভীর চক্রান্ত করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে, আগুনসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। এখন আবার আন্দোলন করার কথা বলছে।’

বিএনপি দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৩০ জন সাবেক এমপি অংশ নিচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে বহুদিন পর একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সারা দেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইউরোপ, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকাসহ অনেক দেশেই বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে নির্বাচন হয়। সেসব নির্বাচনকে কেউ তো অবৈধ মনে করে না! কারণ যে ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয় সেখানে ২/১টা দল না এলে নির্বাচন অবৈধ হয়ে যাবে- এটা বলা যায় না।’

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঢালাওভাবে সবাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে বিষয়টা এমন নয়। ১৬ তারিখ পর্যন্ত দলীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি সুবিধা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সম্পর্কের মাঝে টানাপোড়েন বন্ধুত্বেরই অংশ। আমাদের তাদেরকে দরকার। আবার তাদের আমাদেরকেও দরকার।’

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share this news on: