ময়মনসিংহ সিটিতে নির্বাচনের আমেজ

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ মে। নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার পর স্থানীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে নানা হিসাব-নিকেশ, নড়েচড়ে বসেছে বড় দলগুলো। প্রথম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।

নির্বাচন কমিশন থেকে তফসিল ঘোষণার পর রাজনীতির মাঠ গুছাতে ব্যস্ত রাজনৈতিক নেতারা। বিশেষ করে মেয়র পদে কারা আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী হবেন, এ আলোচনা তুঙ্গে। তবে দলীয়ভাবে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। তবে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। এ ছাড়া প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১৩০টি কেন্দ্রের সব কটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করার বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

৫ মে’র ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সিটি কর্পোরেশন এলাকা। প্রার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। তবে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে একেবারেই চুপচাপ বিএনপি ও গণ ফোরাম।

তবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও উৎসবমুখর করতে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ চায় মহানগর আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে জেলা সিপিবি।

সাধারণ জনগণ মেয়র হিসেবে দেখতে চান পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে। আর ব্যবসায়ীবান্ধব স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা।

দেশের দ্বাদশ সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

পৌরসভার সাবেক ২১টি ও সম্প্রসারিত ১২টিসহ ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে। এই সিটি কর্পোরেশনে আয়তন নব্বই দশমিক ১৭ বর্গকিলোমিটার। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২ হাজার ১০৯ জন।

এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ড থেকে কমিশনার পদে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী মঈন উদ্দিন লস্কর রিগ্যান বাংলাদেশ টাইমস’কে বলেন, আমি নির্বাচিত হতে ৭ নং ওয়ার্ডের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবো। ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। ওয়ার্ডে বখাটেদের কোন উৎপাত থাকবে না। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। 

  

টাইমস/এসআর/এসআই

Share this news on: