প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশকে হারিয়ে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড একাদশ। প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩০৮ রানেই অলআউট হয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশ। যার ফলে টাইগাররা তুলে নিয়েছে ২৬ রানের জয়।

বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী সূচনা করে নিউজিল্যান্ড একাদশ। মাত্র চার ওভারের তুলে নেয় ২৬ রান। কিন্তু এর পরেই ঘটে ছন্দপতন।

নিজের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার জ্যাকব কামিংকে ফেরান হাসান মাহমুদ। হাসানের বলে মিস টাইমিং করে উইকেটরক্ষক লিটনের তালুবন্দি হন কামিং। ফেরার আগে করেন ১৮ বলে ২২ রান। নিজের পরের ওভারে আবারও উইকেটের দেখা পান হাসান।

আরেক ওপেনার জ্যাকব ভুলাকে আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে মাঠছাড়া করেন তিনি। শট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ভুলা। কিউই এই ওপেনার করেন ১২ বলে ৮ রান। ৩২ রান তুলতেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড একাদশ।
ইনিংসের ১৪তম ওভারে নিজেদের তৃতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। তানজিম হাসান সাকিবের বলে উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান কুইন সুন্দি। আউট হওয়ার আগে করেন ৩২ বলে ২৩ রান। অধিনায়ক ভারত পোপলির সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৯ রানের।

সুন্দি ফেরার পর চটজলদি ফিরে যান জামাল টড। আফিফ হোসেনকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার। ৮০ রানের মধ্যে চার উইকেট হারায় কিউইরা।

৮০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন জুটি গড়েন ভারত পোপলি ও সন্দীপ প্যাটেল। এই ব্যাটারই আজ তুলে নেন জোড়া অর্ধশতক। দুজনের জুটি শতরান ছাড়ায়। দেখেশুনে খেলতে খেলতে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে যান পোপলি। যদিও তাকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন আফিফ। ৯০ বলে ৯২ রান করা পোপলিকে বোল্ড করেন আফিফ। এই ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার। পোপলি-সন্দীপের জুটিতে ১৫৬ রান পেয়েছে নিউজিল্যান্ড একাদশ।

দলীয় ৪২ ওভারে সন্দীপকেও প্যাভিলিয়নে ফেরায় কিউইরা। তাকেও ফেরান আফিফ। সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দেয়ার আগে ৭৭ বলে ১১টি চার ও দুটি ছক্কায় ৮৯ রান করেন এই ব্যাটার। এর আগের ওভারে বেন পোমারকে ফেরান রাকিবুল হাসান।

শেষদিকে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে আর সুবিধা করতে পারেনি কিউইরা। শেষদিকে ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জই ফিল্ড। শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে তা। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রিশাদ। দুটি করে উইকেট নেন হাসান এবং আফিফ।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হক বিজয় ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে দারুণ শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে তাদের দুজনের ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি।

দারুণ সব শট খেলে চারটি চার ও একটি ছক্কাও মেরেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। দুর্দান্ত শুরু করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি বিজয়ের। ফিল্ডের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ড্রাইভ করেছিলেন তিনি। তবে বলের লাইন মিস করায় ২৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তাকে।

এরপরে তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। দলীয় ১৪৮ রানে ব্যক্তিগত ৪৬ বলে ৫৮ রান করে আউট হন তামিম। এরপরে ৫৯ করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। সেসময়ে খুব দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। আর আফিফ হোসেন করেন মাত্র ১০ রান।

তবে প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন দলপতি লিটন দাস। তিনি দলীয় ২৫৪ রানে ব্যক্তিগত ৫৫ করে আউট হন। দলের বড় সংগ্রহের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। তিনি ৫৪ বলে ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এ দিকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১ বল বাকি রেখেই অলআউট হয়ে যায়। সবমিলিয়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সামনে দলটি ৩৩৫ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছে। কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সমরথ সিং।

Share this news on:

সর্বশেষ