ইসরায়েলি হামলায় গাজা এখন মৃত্যু ও হতাশার এলাকা

অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস, তুলকারেম, এল বিরেহ ও কালকিলিয়া এলাকায় এবং এসব অঞ্চলের আশপাশের আরব শরণার্থী শিবিরগুলোতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিনের শেষভাগে এ অভিযান চালায় তারা।

এদিকে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির আল-আমল হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার পর জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, গাজা এখন পরিণত হয়েছে মৃত্যু ও হতাশার এলাকায়। খবর আলজাজিরার।

জাতিসংঘ সর্বশেষ বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের ভারী বোমাবর্ষণের পাশাপাশি জল, স্থল ও আকাশপথের অভিযানে ১৬০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা থেকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিনিদের রকেট হামলাও চলছে।

জাতিসংঘ জানায়, শুক্রবার অধিকৃত অঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে পাম্প স্টেশনের সাহায্যে লেগুন থেকে ময়লা পানির বন্যা বইয়ে দেওয়া হয়। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার এসব ময়লা পানি শিবিরটিতে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের স্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকি সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই পরিবেশ জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, কেননা ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত পানির প্রবাহে সেখানকার লোকজনের মধ্যে মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে।

গাজার কেন্দ্রস্থলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি গাড়িতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় গত বৃহস্পতিবার পাঁচজন নিহত হয়েছে। গাজার দক্ষিণে খান ইউনিস শহরের কাছে আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন নিহত হয়। এদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী একটি শিশুও ছিল। এ ছাড়া জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ফাল্লোজায় একটি গোরস্থানে ইসরায়েলের হামলায় শুক্রবার নিহত হয় পাঁচজন।

অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ইসরায়েলি সৈন্যরা ১৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা করে। গুলিতে আহত সঙ্গীকে সাহায্য করতে গেলে ওই তরুণের বুকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় আরও চারজন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তজুড়ে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর বেশকিছু স্থাপনায় বিমান হামলা ও কামানের গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

প্রতিবেশী লেবানন থেকে শুরু করে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত নিরসনে কূটনৈতিক উদ্যোগের সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।

Share this news on: