কালবৈশাখী ঝড়ে রাজধানীসহ সারাদেশে নিহত ৬

কালবৈশাখী ঝড়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকায় নিহত হয়েছেন তিনজন।

এছাড়া মৌলভীবাজার দুইজন ও হবিগঞ্জে একজন মারা গেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুরানা পল্টন মোড় মল্লিক কমপ্লেক্সের নিচে ভবনের ইট ধসে এক চা দোকানি মারা যান।

নিহত হানিফ (৫০) বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানা উলানিয়া গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। বর্তমানে ১০৮ দক্ষিণ মুগদা পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন।

পুলিশ জানায়, ঝড়ের সময় ওই ভবনটির ইট ধসে পড়ে চা দোকানি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পল্টন থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার জানান, ঝড়ের সময় ওপর থেকে শরীরে ইট ধসে পড়ে তিনি মারা গেছেন। বর্তমানে লাশ ঢামেক মর্গে রয়েছে।

এদিকে মণিপুরিপাড়া এলাকায় মিলি ডি কস্তা নামের একজন মারা গেছেন। তিনি উপড়ে পড়া গাছের নিচে চাপা পড়েন।

শেরে বাংলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জোনায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া ভবনের ইট ধসে শেওড়াপাড়ায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।

অন্যদিকে কালবৈশাখীর আঘাতে মৌলভীবাজারে দুই বোন ও হবিগঞ্জে একজন মারা গেছেন।

এছাড়া হঠাৎ ঝড়ে রমনা পার্কের সামনে গাছ ভেঙে সিএনজি ও প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে।

কালবৈশাখীর আঘাতে রোববার রাজধানীর অনেকটাই লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে। ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার বেগে আসা কালবৈশাখীর স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটের বেশি। তবে ঘণ্টাখানেক ধরে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, রোববার সন্ধ্যায় ৬টা ২২ মিনিটে শুরু হওয়া কালবৈশাখীর স্থায়িত্ব ছিল এক মিনিটের বেশি। রাজশাহী থেকে শুরু হওয়া একটি বজ্রমেঘ দেশের মধ্য, পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

এতে দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকায় ওই কালবৈশাখী আঘাত হানে। এর সঙ্গে বজ্রপাত ও বৃষ্টিও হয়। সারা দেশের মধ্যে ঝড়বৃষ্টির দাপট রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি ছিল। আগামীকাল সোমবার ও আগামী মঙ্গলবারও এই ঝড়বৃষ্টি থাকতে পারে।

 

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: