উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ভিপি নুরসহ শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অবরুদ্ধ ও লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত  ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত পৌনে ১০ টার পর্যন্ত সেখানেই তারা অবস্থান করছিলেন।

এদিন বিকেলে সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী হওয়া ফরিদ হাসানের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চাইতে গিয়ে হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন বিভিন্ন প্যানেল থেকে ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও হল সংসদের নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি।

এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও ছাত্রলীগ কর্মীরা নুরের সঙ্গে থাকা একজনকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তাদের। লাঞ্ছিত করা হয়েছে শামসুন নাহার হল সংসদের ভিপি তাসনিম আফরোজ ইমিসহ কয়েকজনকে। তাদের শরীরে ডিম নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে।

এ সময় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করা ও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল সংসদ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

এর আগে বিকাল ৫টার দিকে হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. ফরিদ হাসানকে মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এস এম হলে প্রবেশ করেন ভিপি নুর। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে হল থেকে বের হন নুর।

আন্দোলনকারীরা জানান, এসএম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. ফরিদ হাসানকে সোমবার রাতে মারধর করে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ।

এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার বিকেলে টিএসসির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপস্থিত ডাকসু ভিপি নুর তিন দিনের মধ্যে ঘটনায় জড়িতের বহিষ্কারের দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসএম হলে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা নুরকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করে। এ সময় নুরকে গালিগালাজ করেন তারা।

হল সংসদের জিএস জুলিয়াস সিজার এ সকল অভিযোগের বিষয়ে বলেন, বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে তারা হলে প্রবেশ করে সিট দখল করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করে। ডিম মারার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা ডিম মারিনি, বরং তারাই আমাদের গায়ে ডিম মেরেছে।

এ সকল অভিযোগের বিষয়ে এসএম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত করে এ বিষয়ে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করব। ফরিদের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করতে মঙ্গলবার হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

টাইমস/জেডটি

Share this news on: