অধিনায়ক শান্তর সেঞ্চুরি আর মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি, সঙ্গে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দুরন্ত ফিফটিতে চড়ে লঙ্কান সিংহদের বশ মানাল বাংলার বাঘেরা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। জানিথ লিয়ানাগে এবং কুশল মেন্ডিসের জোড়া ফিফটিতে ৪৮. ৫ ওভার অলআউট হওয়ার আগে ২৫৫ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে তারা। সফরকারীদের পক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে লিয়ানাগের ব্যাটে। ৫৯ রান করেন অধিনায়ক মেন্ডিস।

দারুণ পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে পারফর্ম করে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট ৯টি ভাগ করে নেনে বাংলাদেশের তিন পেসার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম; তারা তিনজনই সমান তিনটি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন।

২৫৬ রানের লক্ষ্য দেখে কারোই ভড়কে যাওয়ার কথা নয়। বর্তমান সময়ে ওয়ানডের প্রেক্ষাপটে এই লক্ষ্যকে সহজ বললেও অত্যুক্তি হয় না। অথচ এই রান তাড়া করতে নেমেই শুরুতে নাভিশ্বাস ছোটে বাংলাদেশের। ২৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার লিটন, সৌম্য ও হৃদয়কে হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৬২ বলে ৬৯ রানের ঝোড়ো জুটিতে সে ধাক্কা সামলে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু অতি মারমুখী হতে গিয়ে ৩৭ রানেই থামেন মাহমুদউল্লাহ।

অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শান্ত। ‘ক্যাপ্টেনস’ নক খেলে ৫৩ পেয়ে যান ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা। ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে খরচ করেন আর ৫৫ বল। শান্তর দুর্দান্ত সেঞ্চুরি অন্যপ্রান্ত থেকে দেখা মুশফিকুর রহিমও পিছিয়ে ছিলেন না। দায়িত্বশীল এক ফিফটিতে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে তবেই মাঠ ছাড়েন এই পোড় খাওয়া ক্রিকেটার।

শান্তর ১২৯ বলে খেলা ১২২* রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ছিল ১৩ চার ও দুই ছক্কার মার। অন্যদিকে মুশফিক ৮ চারে খেলেছেন ৭৩* রানের কার্যকরী ইনিংস।

Share this news on: