যুক্তরাষ্ট্রে শাফিনের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

জনপ্রিয় ব্যান্ডতারকা ও সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার সেন্টারা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। কনসার্টে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শাফিন আহমেদ।

এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে শাফিন আহমেদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর ভার্জিনিয়ার মেনাসাসে দ্বার আল নূর ইসলামিক কমিউনিটি সেন্টারে শাফিন আহমেদের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় অংশ নেন শাফিন আহমেদের অসংখ্য ভক্ত অনুরাগীসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ। জানাজার পর শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ভার্জিনিয়ার বাঙালিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাফিন আহমেদের স্ত্রী ডা. রুমানা দৌলা।

জানাজা শেষে শাফিনের কনসার্ট-এর আয়োজকরা জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই শিল্পীর মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন তারা। জানাজার পর শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান ভার্জিনিয়ার বাঙালিরা। শাফিন আহমেদের ছেলে আজরাফ বলেন, বাবার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে। তাকে আনতে মা সেখানে গেছেন। অনেক ধরনের প্রসেস আছে, সে প্রসেসগুলো দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন।

পরিবার আশা করছে, দুই দিনের মধ্যেই শিল্পীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে। তবে দাফনের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। যদিও সম্ভাবনা রয়েছে, রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শিল্পীর বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে শায়িত করা হবে শাফিনকে।

এদিকে শাফিন আহমেদের মরদেহ আনতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল বড় ভাই হামিনের। কিন্তু শাফিনের দাফন, কবরস্থানের জায়গা নিশ্চিত করাসহ বেশ কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে দেশে থাকতে হয়েছে তাকে।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। সংগীত পরিবারে জন্ম শাফিন আহমেদের। বাবা কমল দাশগুপ্তের কাছে তিনি যেমন উচ্চাঙ্গসংগীত শিখেছেন আর মা ফিরোজা বেগমের কাছে শিখেছেন নজরুলসংগীত। এরপর বিদেশে পড়াশোনার কারণে পাশ্চাত্যর সংস্পর্শে ব্যান্ডসংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন শাফিন। ১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মাইলস’। এর কিছুদিন পর এতে যুক্ত হন দুই ভাই—শাফিন ও হামিন। শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।

Share this news on:

সর্বশেষ