সরকার পতনের পর থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের এক তৃতীয়াংশের এখনও হদিস মেলেনি। খোয়া যাওয়া গোলাবারুদেরও অর্ধেকও উদ্ধার হয়নি।
এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে দেশজুড়ে যৌথ অভিযান চলছে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৩৩টি অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বার্তায় এ হিসাব দিয়ে বলা হয়েছে, বিভিন্ন থানা ও পুলিশি স্থাপনা থেকে ৫ হাজার ৮১৮টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র লুট হয়। এরমধ্যে এখনও ১ হাজার ৮৮৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি।
এসময়ে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদের মধ্যে ৩ লাখ ১২ হাজার ৮৫৭টি উদ্ধার হয়েছে। মোট লুট হওয়া ৬ লাখ ৭ হাজার ২৬২টি গোলাবারুদের মধ্যে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি উদ্ধার হয়নি।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে যেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে কিংবা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই হিসাব পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
লুট হওয়া এসব অস্ত্রের পাশাপাশি লাইসেন্স স্থগিতের পর যেসব অস্ত্র থানায় জমা পড়েনি সেগুলো উদ্ধারেও অভিযানে রয়েছে যৌথবাহিনী। তবে এ অভিযানে সেগুলোর কতটি উদ্ধার করা হয়েছে সে তথ্য এখনও মেলেনি।
শনিবার রাত সোয়া ৭টায় পুলিশ সদর দপ্তর আরেক বার্তায় বলেছে, ৩ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া যৌথ বাহিনীরি অভিযানে ৫৩টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-রিভলবার ২টি, পিস্তল ১৮টি, রাইফেল ২টি, চাইনিজ রাইফেল ১টি, এলজি ৩টি, বন্দুক ৩টি, একে ৪৭ ১টি, শুটারগান ৬টি, শটগান ১১টি, এসবিবিএল ৩টি, এয়ারগান ১টি, গ্যাসগান ১টি ও পাইপগান ১টি।
সরকার পতনের পর সহিংসতার মধ্যে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩ সেপ্টেম্বর। অভিযান শুরু হয়েছে ওই দিন মধ্যরাত ১২টা থেকে।
তবে ৫ সেপ্টেম্বরের পর আর কতটি অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে এ তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা পুলিশ সদর দপ্তর এখন জানায়নি।
সবশেষ তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার না হওয়া অস্ত্রের মধ্যে চায়না রাইফেল ২৯৬টি, এসএমজি চায়না ৬০টি, পিস্তল ৮২৫টি ও শটগান ৫৬৭টি।
এছাড়া বিভিন্ন বোরের গুলির মধ্যে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪০৫টি, টিয়ার সেল ৮ হাজার ৮১১টি এবং ২ হাজার ৫৬৪টি সাউন্ড গ্রেনেড উদ্ধার হয়নি।