আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পাকিস্তানে এগিয়ে ভারত যে এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে না তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু রোহিত-কোহলিদের পাকিস্তানের মাটিতে খেলা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। কিন্তু এবার বিসিসিআই অফিসিয়ালি জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যাচ্ছে না ভারতীয় দল।
শনিবার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট বিষয়ক প্রভাবশালী ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ইতোমধ্যে আইসিসিকে জানিয়েছে যে, ভারত সরকার দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না। এ কারণে, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত অংশ নেবে না। এমতাবস্থায় আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে এবং অন্য ম্যাচগুলো একটি বিকল্প ভেন্যুতে হতে পারে। সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এই মডেলের সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কাকেও সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এরই মধ্যে হাইব্রিড মডেল ব্যবহারের প্রতি আপত্তি জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিকল্প আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিমূলক আলোচনা চলমান রয়েছে।
গত এশিয়া কাপেও একই নাটক সাজিয়েছিল ভারত। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। এরপরই ভারতের অনুষ্ঠিত হয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তবে পিসিবির বিশ্বাস ছিল বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে গেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে আসবে রোহিত-কোহলিরা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পিসিবির চিন্তাকে ভুল প্রমাণ করছে বিসিসিআই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে কোনোভাবেই তারা পাকিস্তানে যেতে চায় না। ২০০৮ সালের জুলাই থেকে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েনে পাকিস্তান সফরে আসেনি ভারত।
শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইস্যুতে কি সিদ্ধান্ত আসে সেটাই দেখার বিষয়। তবে পাকিস্তানের কাছেও ভারতকে বিপাকে ফেলার সুযোগ রয়েছে। কারণ, ২০২৬ সালের এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিজেদের পরিকল্পনা মতো আয়োজন না করতে পারলে ভারতের কাছেও হাইব্রিড মডেলে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিতে পারে পিসিবি।