গতি, গতি আর গতি। বাংলাদেশ পেসার নাহিদ রানা যেন এটি ছাড়া কিছুই বুঝেন না। জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে গত দু’দিন তার গতিই দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। পাকিস্তান, ভারত ও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও তার গতি ছিল দেখার মতো। যা দেখে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা তার প্রসংশায় পঞ্চমুখ। পাকিস্তান, ভাতর ও দক্ষিণণ আফ্রিকা রানা গতির তেজে পুড়েছিল। এবার তার গতির তেজ পেল ক্যারিবিয়রা। আর এতে করেই লন্ডভন্ড হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। ক্যারিবিয় দ্বীপে গতির ঝড় তুলে রানা তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসে প্রথম ৫ উইকেট।
অথচ জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৬৪ রান। টাইগারদের ইনিংসে ব্যর্থতা সত্ত্বেও বল হাতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সব পেসাররা এক সঙ্গে জ্বলে ওঠায় উইন্ডিজরা অলআউট মাত্র ১৪৬ রানে। আর বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে লিড পায় ১৮ রানের। এতে করে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ২১১ রানের। দিন শেষে জাকের আলী ২৯ ও তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
নাহিদ ছাড়াও হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট এবং তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট এবং কেসি কার্টির প্রতিরোধের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন রানা। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক বিদায় নেন ৩৯ রানে। চারে নামা কাভেম হজ লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে করেন মাত্র ৩ রান। প্রথম টেস্টে ভালো খেলা অ্যালিক অ্যাথানাজে এবার ব্যর্থ হন। তাসকিন আহমেদের নিচু হয়া ডেলিভারিতে মাত্র ২ রান করে বোল্ড হন। তাইজুল ইসলামের নিখুঁত বোলিংয়ে জাস্টিন গ্রেভস বোল্ড হন।
হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে ডি সিলভা ও কার্টির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পড়ে। বিশেষ করে কার্টি, যিনি ৪০ রান করে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন।
শেষ দিকে ক্যারিবিয়ানদের পালটা আক্রমণের চেষ্টায় আলজারি জোসেফ রানার বলে ক্যাচ তুলে দেন। মিড অফে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন মেহেদি মিরাজ। শেষ উইকেটটি নেন মিরাজ নিজে, কেমার রোচকে লেগ বিফোর আউট করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৪৬ (কার্টি ৪০, ব্রাফেট ৩৯; রানা ৫/৬১, হাসান ২/১৯)।
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৯৩/৫ (সাদমান ৪৬, মিরাজ ৪২; শামার জোসেফ ২/৭০)