ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে দিল্লি চলে যান তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বাংলাদেশের ফেরত চাওয়ার মধ্যেই তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির ‘ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও)’ শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের অনুমতির মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে। তবে তাদের কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করেননি এবং তারা তথ্যটির বিস্তারিতও জানাননি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো নিজস্ব কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলেছে, ফরেন রিজিয়নাল রেজিস্ট্রেশন অফিসে আসা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাকে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে নোট ভার্বাল পাঠায় বাংলাদেশ। তবে সেটির জবাব এখন পর্যন্ত দেয়নি নয়াদিল্লি।
এদিকে গুম ও জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার এমন তথ্য জানানো হয়। এরপরই জানা গেল, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত সরকার।
এছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত সোমবার দ্বিতীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এরমধেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করল নরেন্দ্র মোদির সরকার।