সেন্ট কিটসে নিজেদের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ব্যাট হাতে ২২৭ রানের মামুলি পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
আগের ম্যাচে জয় নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকা স্বাগতিকরা এদিন টস ভাগ্যে আবারও জয়ী হয়। এই জয় পেয়েই টাইগারদের কম রানে বেঁধে ফেলতে শুরুতেই ফিল্ডিং নেয় ক্যারিবিয়ানরা। পেস আক্রমণে টাইগার বধে সেই পরিকল্পনাতে পাসও হয় উইন্ডিজ বাহিনী। বল হাতে আগ্রাসী ছিলেন জেইডেন সিলস।
এদিন সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে মাঠে নামেন তানজিদ। প্রথমেই জেইডেন সিলসের উইকেট শিকারে লণ্ডভণ্ড হয় টাইগারদের ব্যাটিং স্তম্ভ। সিলসের শিকারে আজ ২ রান যোগ করতে পারেন সৌম্য সরকার। তিনে নামা লিটন সৌম্যর চেয়ে দুই বেশি করেন। সিলসের বলে ৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলের কঠিন মুহূর্তে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও খেই হারান। বোল্ড হওয়ার আগে এক রান যোগ করতে পারেন তিনি। তার উইকেটও নেন ক্যারিবিয়ান পেসার জেইডেন সিলস। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ৩ উইকেটের পতনে ম্যাচে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। এরপর ক্রিজ আগলে রাখা তানজিদ ফেরেন জাস্টিন গ্রিভসের বলে। ৩৩ বলে ৪৬ রান করেন এই ওপেনার।
এরপর আফিফ-মাহমুদুল্লাহ জুটিটি বেশিদূর এগোয়নি। আফিফ কিছুটা ঝড় তুললেও ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৪ রান তুলতে পারেন। মোতির জোড়া আঘাতে আফিফ ও জাকের আলীকে খোয়ায় বাংলাদেশ। আর শূন্য রানে রিশাদকে হারানোর পরে একপ্রান্ত আগলে রাখা মাহমুদুল্লাহকে কেবল সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম সাকিব। এই দুইজনের জুটিতেই ২০০ পার করতে পারে টাইগাররা। ৬২ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব। সিলসের শিকারে টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ করা মাহমুদুল্লাহ ফিরে যান ৬২ রানে। ব্যাটাররা দাঁড়াতে না পারায় ৪৫ ওভার ৫ বলে ২২৭ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।