গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলের শীর্ষ দুই সেনার পদত্যাগ

 ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামাসের হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হারজি হালেভি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেন। মার্চে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সরে যাবেন বলে জানান তিনি।

কেবল হালেভিই নয়, পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন গাজায় অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিঙ্কেলম্যান। তিনি ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ডের প্রধান।

হামাসের সঙ্গে বহুল প্রত্যাশিত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক দিনের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার ঘটনা ঘটল। আগামী ৬ মার্চ থেকে হালেভির পদত্যাগ কার্যকর হবে জানিয়ে সেটি প্রকাশ করে দেশটির সেনাবাহিনী।

এতে দেখা যায়, ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলা ঠেকাতে সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার জন্য দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করছেন হালেভি। গাজা যুদ্ধে এখনও পুরোপুরি হামাস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি ইসরায়েল। তবে আইডিএফ বলেছে, সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সময়েই পদত্যাগ করলেন হালেভি।

যুদ্ধের সব উদ্দেশ্য অর্জন, হামাস ও এর শাসন সক্ষমতা ধ্বংস, জিম্মিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে ইসরায়েল লড়াই চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন হালেভি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের কিব্বুৎজে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এসময় নিহত হন হাজারের বেশি ইসরায়েলি নাগরিক। নারী, শিশু, সেনাসহ অন্তত ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় বন্দি রাখে হামাস।

জিম্মিদের মুক্ত করতে এবং হামাস নির্মূলে গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ১৫ মাস ধরে নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

আহত হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সব হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজারও ভবন। ইসরায়েলি আগ্রাসনে বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবেতর ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

টিএ/

Share this news on: