লিবিয়ায় সম্প্রতি অজ্ঞাতনামা ২৬ মরদেহ উদ্ধারের পর এবার সন্ধান মিলেছে দুটি গণকবরের। দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমির সে গণকবর দুটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৫০ মরদেহ।
লিবিয়া কোস্টগার্ডের ধারণা, মরদেহগুলো অভিবাসন ও শরণার্থী প্রত্যাশীদের। সম্ভবত তারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল।
রোববার (৯ জানুয়ারি) লিবিয়ার নিরাপত্তা অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় ৭ জানুয়ারি দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের কুফরা শহরের একটি খামারে সন্ধান মেলে প্রথম গণকবরের। সেখান থেকে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কুফরার নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল-ফাদিল জানান, একটি বন্দিশিবিরে অভিযান চালানোর সময় আরও একটি গণকবর পাওয়া যায়। সেখানে পাওয়া যায় অন্তত ৩০ মরদেহ। সেখানে বেচে যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভাষ্যমতে, এ কবরটিতে প্রায় ৭০ জনকে মাটিচাপা দেয়া হয়েছিল।
বাকি মরদেহের খোঁজে গণকবরটির আশেপাশের অনুসন্ধান চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়, অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের গুলি করে হত্যা করে মাটিচাপা দেয়া হয়।
এটি লিবিয়ায় গণকবর শনাক্তের প্রথম ঘটনা নয়। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণের শুয়ারিফ অঞ্চলে এক গণকবর থেকে ৬৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়া গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিপুল অর্থ পাচার করছে।
টিএ/