মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর এখন তুলসী গ্যাবার্ডের অধীনে

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক কংগ্রেস সদস্য তুলসি গ্যাবার্ডকে অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। ১২ ই ফেব্রুয়ারি মার্কিন সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে জয়ী হন রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেয়া সাবেক এই কংগ্রেসওম্যান।

সিআইএ এবং এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ১৮টি। এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীর সংস্থা ৭০ হাজারেরও বেশি এবং এ সংস্থাগুলো জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে জববাদিহিতা করে। জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান হিসেবে এখন থেকে এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থা দেখভালের দায়িত্ব পেয়েছেন তুলসী।

স্থানীয় সময় বুধবার তুলসীকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান করা হবে কি না— এ প্রশ্নে ভোট হয়েছিল সিনেটে। এই কক্ষের মোট ১০০ জন সদস্যের ৫২ জন তাকে এ পদে নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তুলসী গ্যাবার্ডের এই বিজয়কে ডোনাল্ড ট্রাম্পেরই একটি বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসনিক নানা পদে তার মনোনীত ব্যক্তিদের দ্রুত সিনেটের অনুমোদন নিশ্চিত করতে চাইছিলেন। ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে ডেমোক্রেটিক পার্টি ছাড়েন তুলসী। ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন তুলসী। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু কিছুদিন প্রচারাভিযান চালানোর পর নিজে থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে , এবারের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন করবেন বলে জানান তিনি।
নিজের ডেমোক্রেটিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসনে এ পদ বাগানো তুলসীর জন্য খুবই কঠিন ছিল। রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ট্রাম্পকে সমর্থনের ‘পুরস্কার’ হিসেবে এই পদ দেওয়া হয়েছে তুলসীকে।

Share this news on: