আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপোষ করবে না গণঅধিকার পরিষদ : নুর

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে গণঅধিকার পরিষদ কোনো আপোষ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সভাপতি নুরুল হক নুর।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে গণহত্যার বিচার ও গণহত্যাকারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধী বিক্ষোভ ও গণমিছিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, ভোট ও নির্বাচন নিয়ে অনেকের যত কথা শোনা যায়, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে তত আওয়াজ শোনা যায় না। গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ ডিসিদের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ গণহত্যা ও ফ্যাসিবাদের আমলে ১৬ বছরের লুটপাটের বিচারের দাবিতে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ চলবে, ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ হবে।

অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে আওয়ামী লীগের প্রশ্নে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ৬ মাস পরও কেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের রাজপথে নামতে হবে? এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে, যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের মুক্তি ও জামিনের জন্য গণঅভ্যুত্থানের শরিকদের অনেকেই সুপারিশ করছে, দল ভারী করতে দলে বেড়াচ্ছে। স্পষ্টত গত ৬ মাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আকাঙ্ক্ষা পূরণে উপদেষ্টা পরিষদের পুনর্গঠন করতে হবে। প্রকৃত অংশীজনদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করে সংস্কারের প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতির দুর্ভাগ্য যে, তার সাহসী সন্তানরা রাজপথে লড়াই করে নতুন ইতিহাস তৈরি করে আর সুবিধা ভোগ করে গুটিকয়েক মানুষ। এবার আর আমরা তা হতে দেব না। রাষ্ট্র সংস্কার ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ না হলে এ গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে। তাই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অবশ্যই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে ফ্যাসিবাদের আমলে দুর্নীতি ,লুটপাট ও অর্থ পাচারসহ যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল তাদেরও বিচার করতে হবে। ৬ মাস যাবত স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি নেই, জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন দিন। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন একটা ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। এতে প্রশাসনের ফিটনেসও বোঝা যাবে।

দলের সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ৬ মাসেও তারা আ.লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। আ.লীগকে নিষিদ্ধ না করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। জাতিসংঘের রিপোর্টে উঠে এসেছে- শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পুলিশ ও আ.লীগ একসঙ্গে গণহত্যা চালিয়েছে। এই রিপোর্টের পর আ.লীগকে নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচার করার গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে। আমরা গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৬৪ জেলার ডিসির মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর গণহত্যার বিচারে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।

Share this news on:

সর্বশেষ

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে ১৩ টি দল, বাকি দলগুলোর ব্যাপারে কি বললেন আলী রীয়াজ Mar 17, 2025
দেশের বাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড Mar 17, 2025
img
২০১৪ সালে আ.লীগ ও বিএনপি-জামায়াতের কী সমঝোতা হয়েছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান Mar 17, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি ফেরত চাইলেন ফরাসি এমপি Mar 17, 2025
img
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়লেন এসি মিজান Mar 17, 2025
img
৯৫ দিন ধরে সাগরে ভাসছিলেন, অবশেষে উদ্ধার Mar 17, 2025
img
ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা জায়গায় নামাজ পড়ায় শিক্ষার্থী গ্রেফতার Mar 17, 2025
ঈদ যাত্রায় রাস্তায় ডা'কা'ত''দের নিয়ে যা বললেন হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা Mar 17, 2025
ডিবি হারুনের সম্পদের খোঁজে দুদক কর্মকর্তাদের নাভিশ্বাস Mar 17, 2025
হাসিমুখে আদালতে শাহজাহান খান Mar 17, 2025