আগামী জাতীয় নির্বাচনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে লড়বেন সাবেক শিবির সভাপতি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হতে চলেছেন মো দেলোয়ার হোসেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিবিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে। শিক্ষাজীবন শুরু হয় বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এরপর ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে দেলোয়ার হোসেন ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯৯ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ২০০৭- থেকে ৯ পর্যন্ত। শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকাকালে আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে টানা ৬০ দিন রিমান্ড ভোগ করেছিলেন শিবিরের এই নেতা।
এদিকে বিএনপির গুরুদায়িত্বে থাকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের রাজনীতিতে বেশ পরিচিত মুখ। স্থানীয় পর্যায়েও মির্জা ফখরুলের রয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। অপরদিকে দরিদ্র ও অসহায়দের সহায়তা করা এবং উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী হওয়ায় এলাকায় তার ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াত সমর্থকরা।
দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কারণে তিনি ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়েছেন বলে জানায় জামায়াত। তবে তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি রাজনৈতিক মামলা চলমান রয়েছে, যেগুলোকে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করা হচ্ছে।
দেলোয়ার হোসেনের রাজনৈতিক জীবনে নির্যাতনের একটি অধ্যায়ও রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি থাকাকালীন সময়ে ২০১২ ,১৩ সালে আওয়ামীলীগ সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং টানা ৬০ দিন রিমান্ডে রেখে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে । এই সময়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয় বলে জানা যায়।
দেলোয়ার হোসেনের সমর্থকরা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এবং তিনি নির্যাতিত নেতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। তার সাংগঠনিক দক্ষতা, জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রতি আগ্রহ তাকে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রেখেছে।