সমন্বয়কদের চার গ্রুপে কতজন সত্যিকারের ছাত্র আছেন? প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে আজকে যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করছেন, সরকারে তিনজন আছেন; এ ছাড়া বিভিন্ন কমিটিতে সমন্বয়ক রয়েছেন, নাগরিক কমিটি রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী কমিটি রয়েছে। তাঁদের সরাসরি প্রশ্ন করতে চাই, এই যে চারটি গ্রুপ রয়েছে, এর মধ্যে কজন সত্যিকারের ছাত্র?’
মঈন খান আরো বলেন, ‘রাজপথে যাঁরা ছিলন, যাঁরা নিজেদের সাধারণ ছাত্র বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কি কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না? অবশ্যই ছিল। যাঁরা সত্যিকারের ছাত্র, রাজপথে ছিলেন, তাঁরা কি কেউ বিএনপির সদস্য ছিল না? এটা বুঝতে হবে। সত্যটা হলো, তাঁরা সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি বলে নিজেদের পরিচয় দেননি, তাঁরা পরিচয় দিয়েছিলেন সাধারণ ছাত্র বলে। এই সত্যগুলো বুঝতে না পারলে আমরা যে সংকটে আছি, সে সংকট থেকে কিন্তু বের হতে পারব না।’
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে সন্তুষ্ট করতে নয়, অন্তর্বর্তী সরকার ‘বড় দায়িত্ব নিয়ে এসেছে জানিয়ে আবদুল মঈন খান বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাংলাদেশকে স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রে রূপান্তরিত করার বিশাল দায়িত্ব নিয়ে এসেছে। তারা চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছে। শুধু গ্রহণ করলে হবে না, দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এটা শুধু তাঁদের জন্য না, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ জন্য।’
এ সময় সংস্কার নিয়ে মঈন খান বলেন, ‘সংস্কার এমন একটি জিনিস, যেটা একবার করে ফেললাম আর সবকিছু সুন্দর হয়ে গেল সেটাকে বোঝায় না। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমি আজকে যেটি সংস্কার করলাম, সেটি আগামীকাল আবার সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ’আমরা শুনেছি, ছাত্ররা নাকি এই সরকারকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছে, আমরা জানি না সারা দেশের মানুষ কি তাদের দায়িত্ব দেয়নি? তারা কি একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে? সেই আন্দোলনে তো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ গিয়েছিল। আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধদের ভুলে গেলে কিন্তু চলবে না।’