গ্রেফতার হতে আদালতে উপস্থিত হবেন জামায়াত আমির। এমন কথা নিজেই জানিয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান। নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেইজে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াতের আমির এই ঘোষণা দেন।
জামায়াতে ইসলামির নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব দলটির আমির। তবে, এবার যেন অনেকটা উঠে পরেই লেগেছেন তিনি। দলের কারাবন্দী এই নেতার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বসলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। এ জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকবেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনো বন্দী রয়েছেন। একে একে সব জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দী জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন। তাঁকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।’
এসময় প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকবো। আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সময়মতো আমাকে যথাস্থানে পাবে, ইনশা আল্লাহ।’
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনায় রিভিউ চেয়ে তিনি ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য থাকলেও এদিন এর শুনানি হয়নি। এরপরই জামায়াতের আমির স্বেচ্ছায় কারাবন্দী হওয়ার এমন ঘোষণা দিয়েছেন।