করাচি থেকে দুবাই, সেখান থেকে রাওয়ালপিন্ডি। ৭ দিনে তিন ম্যাচের জন্য এই পথ পাড়ি দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশকে যেতে হচ্ছে দুবাই থেকে রাওয়ালপিন্ডি। এমনকি অন্যান্য সব দলকেই ছুটতে হচ্ছে এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে। সেখানে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলছে কেবল এক ভেন্যুতেই। যেখানে থাকছে না কোনো ভ্রমণক্লান্তি।
সাবেক দুই ইংলিশ ক্রিকেটার মাইক আথারটন এবং নাসের হুসাইন এটাকেই দেখছেন ভারতের বড় সুবিধা হিসেবে। বর্তমানে ধারাভাষ্য নিয়ে ব্যস্ত দুই ইংলিশ ক্রিকেটারের মতে, কেবল এক ভেন্যুতে খেলার কারণে টিম ইন্ডিয়া নিজেদের পরিকল্পনা বাকি যেকোন দলের চেয়ে বেশ ভালোভাবেই নিতে পারছে।
সম্প্রতি স্কাইস্পোর্টসের সঙ্গে আলাপ করতে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার এমন সূচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে দুই ইংলিশ ক্রিকেটারই মেনে নিয়েছেন, আইসিসির এই আসরে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ভারত। আথারটন বলেন, ‘দুবাইয়ে খেলায় ভারতের সুবিধা কী, শুধু দুবাইয়ে খেলা? আমার কাছে সুবিধাটা পরিমাপ করা কঠিন, তবে নিঃসন্দেহে এটা সুবিধা। তারা স্রেফ একটি ভেন্যুতে খেলছে। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না, অন্যান্য অনেক দলের তা করতে হচ্ছে।’
আথারটন বলেন, ‘তারা কেবলমাত্র এক ভেন্যুতেই খেলছে। অন্যান্য অনেক দলের মতো তাদের বিভিন্ন ভেন্যু বা দেশের মধ্যে ভ্রমণ করতে হচ্ছে না। তাই, তাদের দল নির্বাচন শুধুমাত্র দুবাইয়ের জন্যই পরিকল্পনা করতে পারছে। যদি তারা সেমিতে যায়, তারা জানে কোন ভেন্যুতে খেলবে। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় সুবিধা।’
নাসের হুসাইনও একমত মাইক আথারটনের কথায়, ‘ভারত এক জায়গায় রয়েছে। তারা একই হোটেলে অবস্থান করছে। তাদের কোনো ভ্রমণের প্রয়োজন নেই। তারা একই ড্রেসিং রুম ব্যবহার করছে। তারা পিচ সম্পর্কে জানে। তারা সেই পিচের জন্য দল নির্বাচন করেছে। যখন তারা দল গঠন করেছিল, তখন তারা অনেক বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।’
সাবেক এই অধিনায়ক পরে বলেন, ‘তারা সম্ভবত আগেই অনুমান করতে পেরেছিল যে দুবাইয়ের কন্ডিশন কেমন হতে পারে। তাই তারা তাদের সব পেসারদের নির্বাচন করেছিল। তখন ভারতীয় মিডিয়া থেকে প্রশ্ন উঠেছিল, “আপনারা কেন একজন বাড়তি পেসার নেননি? কেন এত স্পিনার?” আমরা এখন দেখছি, কেন তারা এমন সিলেকশন করেছিল।’
এর আগে একই মন্তব্য করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। যদিও ইনজুরির কারণে এবারের আসর মিস করছেন তিনি। কামিন্স মনে করেন, একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাওয়াটা ভারতের জন্য অ্যাডভান্টেজ। অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার বলেন, ‘শেষমেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হচ্ছে, এটা ভালো। কিন্তু নিঃসন্দেহে ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। একই মাঠে খেলা অবশ্যই সুবিধার। এমনিই ভারত যথেষ্ট শক্তিশালী, তার ওপর আবার একই মাঠে খেলা। সেটা টিম ইন্ডিয়াকে এগিয়ে দিচ্ছে।’