চাহল এবং ধনশ্রী বর্মার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন তাঁরা। মুম্বইয়ে বান্দ্রার পারিবারিক আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল চাহল-ধনশ্রীকে। সেখানেই তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সমাজমাধ্যমে জুটি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তাঁরা।
স্ত্রীর মন রাখতে একাধিক রিলে দেখা গিয়েছিল ক্রিকেট তারকাকে। প্রকাশ্যে স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা দেখাতে কার্পণ্য করেননি চহল। তবে সেই সম্পর্কই ভেঙে যায় নাকি বোঝাপড়ার অভাবে। একদা চর্চিত এই জুটির ব্যক্তিগত জীবনে নাকি ঝগড়া লেগেই থাকত। তার পর স্ত্রীর মান ভাঙাতে কী কিনে দিতে হত চাহল?
স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একটি নাচের রিয়্যালিটি শোয়ে যোগ দিয়েছিলেন চহল-ধনশ্রী। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ক্রিকেট তারকাকে প্রশ্ন করেন স্ত্রীর মান ভাঙতে কী এমন করতে হয় তাঁকে? যদিও ধনশ্রী মনে করতে পারছিলেন না স্বামী কী করেন। স্ত্রীকে সে সময় ভাল ভাবে মনে করে দেখতে বলেন চাহল। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতি বার ঝগড়ার পর তুমি যেটা চাও সেটাই কিনে দিই।’’ ধনশ্রী তখনও মনে করতে পারছিলেন না। শেষে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে চাহলের। বলেন, ‘‘প্রতিটি বিবাদের পর ওর একটাই দাবি, হিরের গয়না কিনে দিতে হবে।’’
এক সময় জানা গিয়েছিল ধনশ্রী নাকি চহলের থেকে ৬০ কোটি টাকা খোরপোশ চেয়েছিলেন। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ধনশ্রীর পরিবার। পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা অত্যন্ত বিরক্ত, যা কিছু লেখা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। খোরপোশের নামে যে রটনা তা একেবারেই সত্য নয়। এমন কোনও অর্থ চাওয়া হয়নি। ওরাও তেমন কিছু দিতে চায়নি। এই গুজবের সঙ্গে সত্যের কোনও যোগ নেই। এতে ক্ষতি ছাড়া কারও উপকার কিছুই হচ্ছে না।”