যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজিকে দেশের আনুষ্ঠানিক সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে চলেছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং শিগগিরই এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন। তবে আদেশটি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
বর্তমানে ফেডারেল পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নির্দিষ্ট সরকারি ভাষা নেই, যা কিছু রাজ্যের জন্য জটিলতা তৈরি করেছে। বিশেষ করে স্প্যানিশ ভাষার ব্যবহার নিয়ে টেক্সাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরে চলমান। ২০১১ সালে টেক্সাসের এক সিনেটর অভিবাসী অধিকার কর্মীদের ইংরেজিতে কথা বলার ওপর জোর দেন, যা রাজ্যে স্প্যানিশ ভাষা ব্যবহারের যৌক্তিকতা নিয়ে পুরোনো বিতর্ককে নতুন করে উসকে দেয়।
একসময় মেক্সিকোর অংশ থাকা টেক্সাস ঐতিহাসিকভাবে স্প্যানিশ ভাষার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে ভাষা সংক্রান্ত এই সংকট অনেক মেক্সিকান-আমেরিকান নাগরিকের জন্য বেদনাদায়ক, কারণ ১৯৫০-এর দশকে টেক্সাসের বিভিন্ন স্কুলে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলার কারণে অনেক শিক্ষার্থীকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইংরেজিকে সরকারি ভাষা ঘোষণার এ সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক ও বহুভাষিক সংস্কৃতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।