নাহিদের পাশে দাঁড়াতে সারজিসের কৌশল!

মঞ্চে নাহিদের পাশে দাঁড়ানো ছিলেন সারজিস। হালকা চাপ দিয়ে সারজিসের জায়গা দখলে নিলেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। নিজের অবস্থান ছাড়তে নারাজ সারজিস একটু পেছনে গিয়ে নাহিদ ও পাটোয়ারীর মাঝের চিপায় ঢুকে পড়লেন। স্বাভাবিকভাবেই বাঁদিকে চাপতে হলো পাটোয়ারীকে। যেন হারানো জায়গা পুনরুদ্ধার করলেন সারজিস।
মঞ্চে নতুন দলের নেতাদের সারিবদ্ধ হয়ে যখন দাঁড়ানোর পালা ঠিক তখনই এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শুরুতেই মঞ্চে এগিয়ে আসেন হাসনাত মাঝখানে দাঁড়ান নাহিদ। তখন একপাশে হাসনাত আরেক পাশে সারজিস। পাঁচ থেকে ছয় সেকেন্ড পর সেখানে আসেন পাটোয়ারী। খুঁজতে থাকেন নিজের জায়গা। দাঁড়াবেন কোথায়? হাসনাতের দিকে গিয়ে সবাইকে ডান দিকে সরে যেতে বলেন। কিন্তু কেউ না শুনলে ফিরে আসেন। আর তখনই নাহিদ সারজিসের মাঝখানে ঢুকে পড়েন। এখানে চাপা পড়ে যান সারজিস। সারজিস তখন পেছনে সরে গিয়ে নাহিদের পাশে আবার দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। অনেকটা ঠেলে নাহিদের পাশে দাঁড়ান। এবারের ঠেলায় পাটোয়ারীকে বাঁদিকে সরে যেতে হয়। শেষমেষ নাহিদের পাশেই দাঁড়াতে পারেন সারজিস। তখন নাহিদের একপাশে হাসনাত এক পাশে সারজিস আর সারজিসের পাশে পাটোয়ারী।

মঞ্চে ঠেলা ধাক্কার প্রায় এক মিনিটের মত এই দৃশ্য দেখা যায় ভিডিওতে।

 আওয়ামী লীগ-বিএনপি'র মধ্যে মঞ্চে বা শহীদ মিনারে ফুল দিতে এমন ঠেলাঠেলির দৃশ্য হওয়ার হামেশাই দেখা যায়। এই একই দৃশ্য নতুন রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেখাও অনেকে হতাশা ব্যক্ত করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এটি ছোট্ট বিষয় বা মুখ্য নয় এমনটি বলে নতুন দলের আত্মপ্রকাশ এবং তাদের অঙ্গীকারকেই বড় করে দেখছেন অনেকে।

নতুন এই দলটি এমন ছাত্রদের নিয়ে সাজানো যারা একসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বা প্লাটফর্মে আন্দোলন করে এসেছেন। জুলাই আন্দোলনে তারা ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থাকে বিলোপ করতে ঐক্যবদ্ধ অভূতপূর্ব এক আন্দোলন গড়ে তোলে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করেন। এরপর নতুন দল গঠনের প্রক্রিয়ায় পদ পদবী নিয়ে নানা গুঞ্জন ওঠে। এমন অবস্থায় শেষ পর্যন্ত কোন প্রশ্ন বিতর্ক ছাড়াই দলটির আত্মপ্রকাশ হয় এবং মূল নেতা ও তাদের পদবী ঘোষণা দেয়া হয়।

এর আগে চার ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। নতুন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আসেন পাঁচটা নাগাদ।

তার আগে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তারা নতুন দলকে স্বাগত জানানোর কথা বলেন।

তবে দলের আত্মপ্রকাশ কে কেন্দ্র করে লাখ লাখ লোকের জমায়েত হবে বলে -, যেমনটি বলা হয়েছিল বাস্তবে তেমন হয়নি-সমাবেশ শেষে এমনটা বলছেন অনেকে।

দুদিন আগে সারজিস আলম অন্তত দুই লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে নতুন দল ও নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে বার্তা দিয়েছিলেন।

কিন্তু, অনুষ্ঠানের জনসমাগম লাখ লাখ ছিল না ঠিক তারপরও বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে।

Share this news on: