অনলাইনে গণচাঁদা সংগ্রহ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি। এনসিপি পেয়েছে একাধিক ধনী ব্যক্তির সহায়তা। এমন তথ্য জানালেন দলটির আহ্বায়ক ও সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। শুধু বড় ব্যবসায়ীদের অনুদানের ওপর নির্ভর না করে, জনসাধারণের কাছ থেকেও অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে দলটি।
শিগগিরই অনলাইনে ক্রাউডফান্ডিং চালু করবে এনসিপি। গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় নাগরিক পার্টি, দলীয় কার্যালয় ও নির্বাচনী তহবিল গঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহের এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেছেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি মনে করেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে একটি জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হবে। তার মতে, জনগণের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তবে দল যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, নির্বাচনের আগে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা’ নামে একটি নীতিগত প্রস্তাব নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
এই ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে, যেখানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে। পাশাপাশি, গত বছরের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এটি প্রণয়ন করার পরিকল্পনাও রয়েছে। নাহিদ ইসলাম বলেন, এক মাসের মধ্যে যদি এই ঘোষণাপত্র নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়, তাহলে নির্বাচন আয়োজনের পথ সুগম হবে। অন্যথায়, নির্বাচন স্থগিত রাখাই যুক্তিযুক্ত হবে।
নাহিদ ইসলামের বক্তব্য এবং এনসিপির অর্থ সংগ্রহের এমন উদ্যোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, নতুন একটি রাজনৈতিক দলের জন্য ক্রাউডফান্ডিং একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হলেও এটি কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে দলটির কর্মকৌশল ও জনগণের সাড়া পাওয়ার ওপর।
এসএম/টিএ