কিশোরগঞ্জে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাত্রলীগের এক নেতা মুন্নাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে জেলার পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আশিষ কুমার দাস বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন, পৌর সদরের শ্রীরামদি গ্রামের গোলাপ মিয়া (৫০) ও রাকিব মিয়া (২৭)।
তবে প্রধান আসামি মো. নাজমুল আলম মুন্নাকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে পৌর সদরের শ্রীরামদি গ্রামে আসামি মুন্নাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাজমুল আলম মুন্না পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ শাখার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি পৌর সদরের ফকির পাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে পাকুন্দিয়া থানার এসআই আশিষ কুমার দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামি ছাত্রলীগ নেতা মুন্নাকে গ্রেফতার করতে পৌরসদরের শ্রীরামদি গ্রামে অভিযান চালায়। তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার ডাক চিৎকারে এলাকার দুর্বৃত্তরা ছুটে গিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় পুলিশকে মারধর করে মুন্নাকে ছিনিয়ে নেয় তারা। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াৎ হোসেনসহ একদল পুলিশ গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি মুন্নাসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়।
পরে ভোররাতে শ্রীরামদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গোলাপ মিয়া ও রাকিব মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মুন্নাসহ বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
এসএম