কক্সবাজারে গহীন জঙ্গল থেকে অপহৃত প্রবাসী উদ্ধার

সোমবার রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী স্টেশন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন মালয়েশিয়া প্রবাসী আবদুল মন্নান(২৭) ও সঙ্গে আরো দুজন। কিন্তু কালারমারছড়া ইউনিয়নের চালিয়াতলি এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারীরা অটোরিকশাটি আটক করেন। সেখান থেকে আবদুল মন্নানকে অপহরণ করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যান তারা। পরে অপহরণকারীরা মুঠোফোনে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে আবদুল মন্নানকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন তারা।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর একটায় অপহৃত প্রবাসীর বড় ভাই আবদুল শুক্কুর মহেশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অপহৃত প্রবাসীকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ।

মহেশখালী থানার পুলিশ জানায়, অপহৃত প্রবাসীকে উদ্ধারের জন্য মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাস চন্দ্র ধরের নেতৃত্বে ছদ্মবেশে তৈরি হয় পুলিশের দুটি দল। মঙ্গলবার বিকাল পাঁচটার দিকে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকির জুমপাড়ার পূর্বপাশে গহিন অরণ্যে ঢুকে পড়েন তারা। পাহাড়ের ভেতরে মুক্তিপণের টাকা রেখে পিছু হটে ছদ্মবেশী পুলিশ। পাহাড়ি এলাকার ভেতর থেকে অপহৃত প্রবাসীকে ছেড়ে দিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসেন অপহরণকারী দলের সদস্যরা। পুলিশ তখন পেছন থেকে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় পাহাড়ের ভেতর থেকে অপহরণকারী দলের অন্যান্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ধাওয়া করে অপহরণকারী দলের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। অপহরণের ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় প্রবাসী আব্দুল মন্নানকে।

অপহরণকারী দলের সদস্যরা হলেন রুহুল কাদের (২৮) ও মোহাম্মদ আজিজ (৩০)। রুহুল কাদেরের বাড়ি উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে। মোহাম্মদ আজিজ একই ইউনিয়নের অফিসপাড়ার বাসিন্দা।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ১৭টি গুলি ছোড়া হয়। অস্ত্র উদ্ধার ও অপহরণের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে অপহরণকারী দলের দুই সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

টাইমস/এসআই

 

 

 

Share this news on: