আবুল হোসেনের সচেতনতায় রক্ষা পেল ৫০০ ট্রেনযাত্রী

চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের পাঁচ শতাধিক যাত্রী বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আবুল হোসেন নামে এক কিশোরের সচেতনতায়।

আবুল হোসেনের বাড়ি শমশেরনগর ইউনিয়নের ঈদগাহ টিলায়। সে কমলগঞ্জের কামুদপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার আবুল হোসেনের জানান, মঙ্গলবার রাতে একটি কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় টর্চলাইটের আলোতে সে দেখতে পায় ঈদগাহ টিলা এলাকায় রেলপথের একটি পাত ভেঙে ফাঁক হয়ে আছে। রেলপথের একটি পাত দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কথা ভেবে সে গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানায়।

আবুল হোসেনের কাছ থেকে এই কথা শোনার পর সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে গ্রামবাসী। শমশেরনগর স্টেশনমাস্টারকে এবং রেলের গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক আহমদ।

তিনি বলেন, ছাত্রটি সচেতন হয়ে বিষয়টি গ্রামবাসীকে না জানালে তিনিও জানতেন না। ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত। রেল কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তারা দ্রুত ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত প্রতিস্থাপন করেন।

আবুল হোসেনের সচেতনতায় সম্ভাব্য রেল দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে শমশেরনগর স্টেশনমাস্টার কবির আহমদ বলেন, খবর শুনে শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেনকে জানান। মনির হোসেন তার কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত স্থাপন করেন। এতে আধা ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: