যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করবেন না বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এমনকি ট্রাম্পের যা ইচ্ছা তাই তিনি করতে পারেন বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
আলোচনায় বসতে ট্রাম্পের চিঠি পাঠানোর জবাবে তিনি একথা বলেন বলে বুধবার (১২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন— হুমকির মুখে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনও আলোচনা করবে না। একইসঙ্গে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলেছেন, “আপনার যা ইচ্ছা তাই করুন”।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পেজেশকিয়ানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “তারা (যুক্তরাষ্ট্র) যে আদেশ দেয় এবং হুমকি দেয় তা আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। আমি আপনার সাথে আলোচনাও করব না। আপনি যা ইচ্ছা তাই করুন।”
এর আগে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত শনিবার বলেন, কোনও হুমকি দিয়ে তেহরানকে আলোচনায় নেওয়া যাবে না। নতুন পারমাণবিক চুক্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প
ইরানকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানানোর একদিন পর তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন।
তেহরানের সাথে চুক্তি করার বিষয়টি খোলা রাখার কথা জানালেও ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য যে “সর্বোচ্চ চাপ” প্রয়োগের নীতি নিয়েছিলেন তা পুনর্বহাল করেছেন তিনি।
ফক্স বিজনেসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন, “ইরানকে মোকাবিলা করার দুটি উপায় রয়েছে: সামরিকভাবে, অথবা আপনি তাদের সাথে চুক্তি করুন” যাতে তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত থাকতে পারে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে, দেশটি “নাটকীয়ভাবে” ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ত্বরান্বিত করছে বলে বলে সতর্ক করেছে আইএইএ।
এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি ছয় বিশ্বশক্তির সাথে তেহরানের ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন এবং দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় কার্যকর করেন।
এরপর ২০১৯ সাল থেকে ইরান তার পারমাণবিক কাজ আরও ত্বরান্বিত করে।