জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীতে নতুন আটজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপরই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই আট নেতাকে সভাপতিমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্তির কথা জানানো হয়।
সভাপতিমণ্ডলীর নতুন আট সদস্য হলেন- সাতক্ষীরার সৈয়দ দিদার বখত, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাজী মামুনুর রশিদ, নীলফামারীর জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফেনীর নাজমা আখতার, গাজীপুরের আব্দুস সাত্তার মিয়া, পুরান ঢাকার আলমগীর শিকদার লোটন, চাঁদপুরের এমরান হোসেন মিয়া ও নীলফামারীর রানা মোহাম্মদ সোহেল।
এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদেরের মধ্যে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর আগে জানুয়ারিতে এরশাদ চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর জি এম কাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণের পর ‘রওশনপন্থি’ বলে পরিচিত নেতারা নাখোশ মনোভাব দেখান বিভিন্ন সভায়।
ভাইকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি দলের ভবিষ্যৎ চেয়ারম্যান হিসেবেও মনোনীত করছেন এরশাদ। তবে দলটির অপর পক্ষের নেতারা কাউন্সিলের মাধ্যমেই দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা বলছেন।
জি এম কাদের সম্প্রতি এই বছরই দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন। তার আগে দলটির সভাপতিমণ্ডলীতে আটজনকে নতুন করে নেয়া হলো। নতুন আটজনকে নিয়ে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান জানিয়েছেন।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বাড়ানোর কারণ জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘এই সংখ্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নয়। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে (পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনিতেও প্রেসিডিয়ামের অনেক সদস্যই আসেন না। সামনে পার্টির জাতীয় কাউন্সিল আছে। সব কমিটিতেই সদস্য সংখ্যা আমরা ঠিক করে দেব।’
টাইমস/এসআই