গয়না কেনায় সতর্ক হোন, নইলে ঠকছেন

শুধু নতুন পোশাক আর শাড়িতে নারীদের ঈদের সাজ যেন পূর্ণ হয় না। তাই পোশাকের সঙ্গে অনেক নারীই সাধ্যমত কিনছেন স্বর্ণের গয়না। ঈদ ছাড়াও টাকা হাতে মজুত হলে অনেক নারী অলঙ্কার কিনতে পছন্দ করেন।

এক্ষেত্রে খাঁটি স্বর্ণ চিনতে না পারায় দোকানে গিয়ে অনেক সময় নারীদের ঠকতে হচ্ছে। ২২ ক্যারেটের দাম দিয়ে পাচ্ছেন ১০ কিংবা ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন আপনার কেনা গয়না খাঁটি স্বর্ণের? এক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় জানা থাকা জরুরি।

কত ক্যারেটে কত খাদ
সাধারণত ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণই হলো খাঁটি। ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ মানে ৯৯.৯ ভাগ খাঁটি। কিন্তু দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়েই অলঙ্কার তৈরি হয়। দেখতে হবে, ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ দেয়া হয়েছে কিনা। ২২ ক্যারেট স্বর্ণ মানে ৯১.৬ ভাগ খাঁটি। ২১ ক্যারেটে থাকে ৮৭ ভাগ, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ ভাগ। তবে আমাদের দেশে ২২ ও ২১ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়।

কীভাবে যাচাই করবেন
স্পেকট্রোমিটার নামের মেশিনে মাপার পর স্বর্ণে খাদ থাকলে সহজেই ধরা পড়ে যাবে। মেশিনই বলে দেবে কত ক্যারেটের স্বর্ণ আপনাকে দেয়া হয়েছে। সুতরাং স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে আপনার স্বর্ণের খাদ যাঁচাই করে তবেই কিনুন।

এছাড়া আপনি যদি এমন কোনো মার্কেট থেকে স্বর্ণ কিনেন, যেখানে স্বর্ণ যাচাইয়ের পদ্ধতি নেই। এক্ষেত্রে সাধারণ একটি লাইটারের আগুন বেশ কিছুক্ষণের জন্য অলংকারটির ওপর ধরুন। যদি অলংকারটির ওপর কালো আস্তরণ পড়ে, সেক্ষেত্রে বুঝতে হবে অলংকারটি স্বর্ণের নয়। আর যদি কোনো রকম কালো দাগ না পড়ে তাহলে বুঝবেন অলংকারটি স্বর্ণের।

স্বর্ণ কেনার কয়েকটি টিপস

স্বর্ণ কতটা খাঁটি
স্বর্ণের গয়না কতটা খাঁটি তা দেখে নিন। এছাড়া প্রত্যেক গয়নায় একটি নম্বর হলমার্ক করা থাকে। স্বর্ণের ক্যারেট, হলমার্কের সাল অবশ্যই দেখে নিতে হবে।

তৈরির উপর কত ছাড়
বেশি পরিমাণে গয়না বিক্রির জন্য অনেক সময়ে প্রায় প্রত্যেক দোকানেই ‘মেকিং চার্জ’-এর ওপর বাড়তি ছাড় দেয়ার কথা বলেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন ছাড় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। কোথাও কোনো গুপ্ত খাতে বেশি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে কিনা তা যাচাই করুন।

মূল্য যাচাই
স্বর্ণের গয়নার দাম একেক দোকানে এক এক রকমের হয়। তার কারণ হতে পারে স্বর্ণের মান বা মেকিং চার্জ। ফলে কেনার আগে খানিক মার্কেট সার্ভে অবশ্যই করে নেয়া উচিত।

মণিমুক্তা খচিত
স্বর্ণের গয়নায় দামি পাথরের কাজ থাকলে, তা দেখতে ভালো লাগে ঠিকই কিন্তু তার দামও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। অথচ পরবর্তীতে সেই গয়নার দাম মনের মতো পাওয়া যায় না। ফলে, স্বর্ণের গয়নায় পাথর না থাকাই শ্রেয়।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: