লিবিয়া দিয়ে বাংলাদেশিদের ইউরোপে প্রবেশ চেষ্টা বেড়েছে

২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টার হার সামগ্রিকভাবে ২৫ শতাংশ কমেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টেক্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিম বালকান অঞ্চলে এই প্রবণতা কমেছে ৬৪ শতাংশ, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হ্রাস।

তবে ব্যতিক্রম মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুট। লিবিয়া হয়ে এই রুট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা বাড়ছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি রয়েছেন। ফ্রন্টেক্স জানায়, এ রুটে অবৈধ প্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে ৪৮ শতাংশ।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এই রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে বাংলাদেশিরা। তারা প্রথমে বৈধ পথে লিবিয়া যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে সমুদ্র পথ পাড়ি দেওয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে।

সংস্থাটি বলেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই রুটে ৬ হাজার ৮৬৩ জন সমুদ্র পথে ইউরোপে আসার চেষ্টা করেছেন। যা ২০২৩ সালের তুলনায় অনেক কম। ওই বছর একই সময় প্রায় ১২ হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। বর্তমানে মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সক্রিয় রুট।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, লিবিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতরা এখন দ্রুতগতির স্পিডবোড ব্যবহার করছে। যেন কর্তৃপক্ষ তাদের ধরতে না পারে। আর এই সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে একেকজনের কাছ থেকে ৫ হাজার ৮ হাজার ইউরো করে নিচ্ছে। এই রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে বাংলাদেশিরা। যারা বাংলাদেশ-লিবিয়ার মধ্যে থাকা শ্রম চুক্তির মাধ্যমে বৈধ পথে লিবিয়া আসছে। এরপর অবৈধ পথ বেঁছে নিচ্ছে।

গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ১৮২ জন মানুষ পূর্ব আফ্রিকা রুট দিয়ে দিয়ে ইউরোপে ঢুকেছে। যা গত বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম। এই রুট দিয়ে সবচেয়ে বেশি মালি, সেনেগাল ও গিনির মানুষ ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে।

সব মিলিয়ে গত দুই মাসে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও মালির মানুষ সবচেয়ে বেশি এই অবৈধ কাজ করেছেন।

এসএস


Share this news on: