গুরুতর চোট পেয়েছেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ভাগ্যশ্রী। যার জেরে অভিনেত্রীর কপালে মোট ১৩টি সেলাই পড়েছে। ভ্রুর কাছে তৈরি হয়েছে গভীর ক্ষত । পিকলবল খেলতে গিয়েই আচমকা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ভাগ্যশ্রী। হাসপাতাল থেকেই সমাজমাধ্যমে নিজের একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন ভাগ্যশ্রী।
সেখানেই দেখা গেল, গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে। ভ্রুয়ের কাছে গভীর ক্ষতর সৃষ্টি হয়েছে। কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসিমুখে এক ছবিতে ধরা দিয়েছেন তিনি। সেটা দেখেই বোঝা গেল, তিনি আপাতত খানিক সুস্থ রয়েছেন। আসলে পিকলবল শক্ত হওয়ার ফলে খেলার মাঝে অসতর্ক হলেই যে কারও বিপত্তি হতে পারে। শরীরের কোনও অংশে সজোরে পিকলবল লাগলে গুরুতর চোট পেতে পারেন কেউ। ভাগ্যশ্রীর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে অভিনেত্রীকে নেটপাড়ার একাংশ সমবেদনা জানালেও সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দারাই অভিনেত্রীর সমালোচনা করেছেন।
নিন্দুকদের বক্তব্য, “সবজায়গাতেই রিল তৈরি করা, ছবি তোলা কি খুব প্রয়োজন না কি বাঞ্ছনীয়?” অন্য এক নেট নাগরিকের মন্তব্য, “কী অবস্থা! এখন সব ব্যক্তিগত মুহূর্তকেই ধরে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়াটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালে গিয়েছে সেখান থেকেও ছবি! বাকি রইল মানুষজন কবে মরতে বসেছে তখনকার অথবা বাসর রাতের ভিডিও পোস্ট করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে!”
নায়িকা হিসাবে ঝুলিতে মাত্র একটি ছবি। সালমান খানের বিপরীতে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া'। তারপরে কেটে গিয়েছে ৩৭ বছর। আজও বলিপ্রেমী দর্শকদের কাছে বলিপাড়ার মিষ্টি অভিনেত্রীদের কথা ওঠে, সেই তালিকায় ভাগ্যশ্রীর কথা সন্দেহাতীতভাবে উঠবেই। বর্তমানে ৫৬ বছর বয়সেও তিনি একইভাবে সুন্দর এবং ফিট। তবে অনেকেই তাকে তকমা দিয়েছেন ‘ওয়ান ফিল্ম ওয়ান্ডার’ হিসেবে। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে অভিনয় করার পর প্রযোজক-পরিচালকদের অগুনতি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব তিনি হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন স্রেফ গুছিয়ে সংসার করবেন বলে।
এসএম