ভ্লাদিমির পুতিন একের পর এক মিথ্যা কথা বলছেন। ফের এমন দাবি তুলেছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল এবং ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় ১৫ মার্চ জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন সেনারা কুরস্ক অঞ্চলে কোণঠাসা হয়ে নেই। তারা সাহসের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছে এবং রুশ বাহিনীকে মোকাবিলা করছে। অন্যদিকে পুতিনের দাবি, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে। প্রাণ বাঁচাতে চাইলে তাদের আত্মসমর্পণেরও পরামর্শ দেন পুতিন।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ। এরই মধ্যে গত গ্রীষ্মে অনেকটা আকস্মিকভাবে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা দখল করে নেন ইউক্রেনের সেনারা। সম্প্রতি রুশ বাহিনী ধীরে ধীরে ওই এলাকাগুলো ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করেছে।
তবে জেলেনস্কির দাবি, এমন কোনো ঘটনার প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি কতটা জটিল করা যায়, সে চেষ্টাই করছেন পুতিন। তিনি কুরস্কের বিষয়ে মিথ্যা বলছেন। সত্যিটা হলো, জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরও পুতিন অযাচিতভাবে যুদ্ধটা প্রায় এক সপ্তাহ প্রলম্বিত করেছেন। তিনি এটি আরও টেনে নিয়ে যাবেন।’
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউক্রেনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সৌদিতে ট্রাম্প প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় ওই প্রস্তাবে সায় দেয় কিয়েভ। এরপরই প্রস্তাবটি পুতিনের কাছে তুলে ধরতে মস্কো যান ট্রাম্পের প্রতিনিধি। তবে এখনো রাশিয়ার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সম্মতি জানানো হয়নি। এ বিষয়ে জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই দেরি করার পেছনের কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যেকোনো যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার আগে রাশিয়া সামরিকভাবে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চায়।’
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের মতে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি না হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন পুতিন। এই যুদ্ধ যেন শেষ না হয়, সে উপায় খোঁজার চেষ্টা করছে মস্কো। ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন জেলেনস্কি। তবে এমন কোনো শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে ইউক্রেনের কোনো অঞ্চল কিছুতেই রাশিয়ার হাতে তুলে দেয়া হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এসএম/টিএ