বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবলকে ঘিরে যে আলোচনাটি চলছে, তা মূলত প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে। ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া হামজা চৌধুরী এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর আগে থেকেই তিনি বাংলাদেশে এক বড় সুপারস্টারের মতো পরিচিতি পেয়ে গেছেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির হয়ে এফএ কাপ জয়ী এই ফুটবলারের আগমন ফুটবলের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
২০১৩ সালে জামাল ভূঁইয়া দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে আরও অনেক প্রবাসী ফুটবলার এই পথে হাঁটেন। তবে হামজার মতো একজন ফুটবলার বাংলাদেশের জাতীয় দলের জন্য এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এ ছাড়া ফাহামিদুল ইসলাম, যিনি ইতালির চতুর্থ স্তরের ক্লাবের হয়ে খেলেন, তাকে সৌদি আরবের ক্যাম্পে যুক্ত করা হয়েছে। তার প্রতিভা নিয়ে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবেরার দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
এদিকে প্রবাসী ফুটবলারদের জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু বিতর্কও রয়েছে। সাবেক ফুটবলার এবং কোচ আলফাজ আহমেদ জানান, প্রবাসী ফুটবলারদের এভাবে জাতীয় দলে স্থান দেওয়া বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উন্নতি আনে কিনা, তা নিয়ে ভাবতে হবে। তার মতে, দেশের ভিতর থেকে ফুটবল উন্নয়নের পথ খুঁজে না পেলে প্রবাসীদের আসা দেশের ফুটবলকে আরও নিচে নামিয়ে দেবে।
তবে সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেছেন, জাতীয় দলে প্রবাসী ফুটবলারদের অংশগ্রহণ সঠিক পদক্ষেপ হতে পারে, তবে দেশের ভেতরে তৃণমূল ফুটবলে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি মনে করেন, দেশের ফুটবল যদি সঠিকভাবে এগোতে চায়, তাহলে প্রাথমিক লিগের উন্নয়নে আরও জোর দেওয়া উচিত।
তবে দেশের ফুটবলের ভবিষ্যত কী হবে? আমাদের প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফুটবল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যেন ফুটবল একটি শক্তিশালী ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
এসএম/টিএ