যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান, মার্কিন জাহাজে পাল্টা হামলার দাবি হুতিদের

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজে পাল্টা আঘাতের দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হ্যারি এস ট্রুম্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। যদিও, হুতির হামলার কথা অস্বীকার করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর।

হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, তাদের বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে। তিনি দাবি করেন, ব্যালিস্টিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লোহিত সাগরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হ্যারি এস ট্রুম্যান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতিবাদের পাল্টা জবাব বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এমন কোনো হামলার তথ্য পাননি তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা হুতিদের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা লোহিত সাগরে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর নৌ অবরোধ অব্যাহত রাখবে, যতক্ষণ না গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

এদিকে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হুতিদের সতর্ক করে বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও ড্রোন লক্ষ্য করে হামলা বন্ধ না করা হয়, তাহলে তাদের অভিযানও অব্যাহত থাকবে।

এই অভিযান মূলত সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ইরানপন্থি হাউথিদের প্রতিহত করার জন্য বলে জানান তিনি। তবে, হুতিদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। উভয় পক্ষকেই সংঘাত পরিহার করতে বলেছে জাতিসংঘ।

এদিকে হুতিদের লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনীর হামলা অব্যহত রয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। এতে একটি যুদ্ধবিমানকে উড্ডয়ন করতে দেখা যাচ্ছে এবং সেন্ট্রাল কমান্ড ইরান-সমর্থিত হুতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

হুতি সমর্থিত সংবাদমাধ্যম লোহিত সাগর বন্দরের হোদেইদাহতে আরও দুটি হামলার খবর দিয়েছে। শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। বিমান হামলায় এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। আর আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।

শনিবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইয়েমেনের হুতি-অধিকৃত এলাকায় মার্কিন সামরিক অভিযান কয়েক দিন এবং এমনকি কয়েকত সপ্তাহ ব্যাপী হতে পারে।


এমআর/এসএন

Share this news on: