গুজরাটে ২০০২ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার (১৬ মার্চ) এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প রটিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক শিবির।
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালের ভয়াবহ দাঙ্গা নিয়ে ২০২৩ সালে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি
কোয়েশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্রে অভিযোগ করা হয়, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে কাজে লাগিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
সেসময় রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সংঘাত না থামিয়ে বরং দাঙ্গা প্রতিরোধ যারা করতে চেয়েছিলেন তাদের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট মোদিকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও ২৩ বছর ধরেই তাকে দায়ী করা হচ্ছে গুজরাট দাঙ্গার জন্য।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পডকাস্ট হোস্ট লেক্স ফ্রিডম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি ওই দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, দাঙ্গা নিয়ে যে সব কথাবার্তা ছড়িয়েছিল, তা মিথ্যা রটানোর চেষ্টা। বিরোধী রাজনৈতিক শিবির এই কাজ করেছে।
মোদি আরও বলেন, ২০০২ সালের সংঘাত নিয়ে এমন একটি ধারণা তৈরি করা হয়েছিল যেন সেটি গুজরাটের সবচেয়ে বড় দাঙ্গা। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা, সাইকেলে ধাক্কার মতো ছোটখাটো ঘটনাতেও রাজ্যটিতে দাঙ্গার মতো ঘটনা ঘটতো।
তিনি বলেন, আমার বিধায়ক হওয়ার তিনদিন পর গোধরার ঘটনা ঘটে। মানুষকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আপনি কল্পনা করতে পারবেন পরিস্থিতি কতটা উত্তপ্ত ছিল। এটা সবচেয়ে বড় দাঙ্গা ছিল এমন গল্প ছড়ানো হয়েছিল যা মিথ্যা।
২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় ৫৯ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরপরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাট জুড়ে। প্রাণ হারান হাজারেরও বেশি মানুষ যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। ভারতের স্বাধীনতার পর এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দাঙ্গার একটি।
এমআর/এসএন