দখলদার ইসরায়েলের মুহুর্মুহু বোমা হামলায় দিশেহারা ফিলিস্তিনি মুসলমানরা। পবিত্র রমজান মাসে যুদ্ধ বিরতি উপেক্ষা করে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েল। যেনো দেখার কেউ নেই। ঘুমিয়ে আছে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো। বিশেষ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি পক্ষ নিয়েছেন ইসরায়েলের। যেভাবে জ¦লে-পুড়ে ছারখার হচ্ছে গাজা উপত্যকা ঠিক সেভাবেই যেনো জ¦লে পড়ে নিঃশেষ হবার পথে এবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা।
তবে ফ্লোরিডার সেই আগুন গাজার মত কোন নরপিশাচ অমানুষের লাগানো নয়, সেখানে চালানো হচ্ছে না কোন বোমা হামলাও। এরপরও জ¦লছে ফ্লোরিডা। দাবানলের করাল গ্রাসে পুড়ে ছারখার প্রায় ৪ হাজার একর জমি। এ যেনো প্রকৃতির বড় প্রতিশোধ। গাজার সেই শিশুর কান্না আর আত্মচিৎকারেও যখন মন গলেনা কঠিন পাথর হৃদয়ের যুক্তরাষ্ট্রবাসীর। ঠিক তখনি যেনো প্রকৃতির নির্মমতা দেখছে আমেরিকা। যে ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে এসব অসহায় মুসলমানদের ওপর তাদের দেশেই গাজায় হামলা বন্ধের জন্য প্রতিবাদ হচ্ছে, রাস্তায় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে হামলা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে ওরা। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র যেনো হাটছে ভিন্ন পথে ভিন্ন মতে।
সম্প্রতি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসেই গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় প্রায় ১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই শিশু। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা শিকার হয়েছে ভয়াবহ দাবানলের। ওয়াশিংটনের পাঠানো বোমার আঘাতে যখন পুড়ছে গাজা ঝড়ছে প্রাণ, ঠিক তখনি পুড়ে ছাড়খার ফ্লোরিডা। এই দাবানলের ভিডিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে যা আবার ধরা পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাফিক পুলিশের ক্যামেরায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা, এখনো জ¦লছে আগুন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি গড়ি। জানা যায়, এই দাবানলের ফলে বন্ধ হয়ে যায় ফ্লোরিডার মায়ামীর দুই গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ উরাল সড়ক ইউএস ওয়ান এর প্রায় ১৮ মাইল রাস্তা রাতভার বন্ধ থাকে। তবে, এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি এই ভয়াবহ দাবানলে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এর আগে ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের ধ্বংশযজ্ঞ দেখেছিলো পুরো বিশ্ব। তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলতে বাধ্য হয়েছিলো এ যেনো কোন দাবানল নয় বরং পারমানবিক বোমা হামলার শিকার কোন এলাকা।
ফ্লোরিডার এই দাবানলকে নেটিজেনরা দাবি করছেন প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসেবে। যেভাবে পুড়ছে গাজা আর চেয়ে চেয়ে দেখছে আমেরিকা এটা যেন ঠিক সেটিরই প্রতিশোধ।
এমআর/এসএন