বিএনপি উঠে দাঁড়াবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজ জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমাদের শপথ নিতে হবে যে, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকব। অনেকেই হতাশার কথা বলেন। আমি কখনো হতাশার কথা বলি না, বলতে চাই না এবং বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি শহীদ জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ, দর্শন ও চিন্তা, তা কখনো ব্যর্থ হওয়ার নয়।’

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার যে আদর্শ ও ত্যাগ স্বীকার, তা ব্যর্থ হওয়ার নয়। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি, জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে ভালোবাসে। আর তারা অবশ্যই উঠে দাঁড়াবে, বিএনপি উঠে দাঁড়াবে। বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবে।

ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বুধবার বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৮তম ‘শাহাদতবার্ষিকী’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় উল্লেখ করে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ চারদিক তাকিয়ে দেখুন, সরকার বলতে কোনো জিনিস আছে বলে মনে হয় না। মনে হয় না যে, কোনো শাসন ব্যবস্থা আছে। দুঃশাসন, অপরাধ ও দুর্নীতিতে বাংলাদেশ ভরে গেছে। আজ চারদিকে দুঃশাসন চলছে। এই দুঃশাসন সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হচ্ছে।’

খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারা খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রেখেছে। আর এটা করেছে একটি কারণে, তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আজ খালেদা জিয়া কারাগারে। তাই আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা যদি দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলি, তাহলে সংগঠন শক্তিশালী হবে। গঠনতন্ত্র মোতাবেক দলকে পরিচালনা করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, আহমদ আযম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: