অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন: দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নকলা থানার এসআই প্রত্যাহার

জমির বিরোধের জেরে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগে শেরপুর নকলা থানার এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন জেলার পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম।

এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করে শেরপুর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন এবং সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে নকলা থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

কলা পৌর শহরের কায়দা গ্রামের স্থানীয় গোরস্থান সংলগ্ন এলাকায় গত ১০ মে সকালে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দিয়ে টেনে-হেঁচড়ে জমির পাশের একটি ইউক্যালিপটাস গাছের সঙ্গে হাত বেঁধে  এবং অন্য গাছের সঙ্গে তার দুই পা বেঁধে মারধর করা হয়।

গত ৩ জুন শেরপুরের আমলি আদালতে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি নালিশি মামলা করেন ওই নারীর স্বামী। বুধবার রাতে মামলার আসামি এক নারীকে ওই এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, নকলা পৌর শহরের উপকণ্ঠে কায়দা গ্রামের এক খণ্ড জমি নিয়ে সহোদর বড়ভাই আবু সালেহ (৫২), নেছার উদ্দিন (৪৮) ও সলিম উল্লাহর (৪৪) বিরোধ ও দেওয়ানী মোকদ্দমা চলে আসছে বাদীর।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এর জের ধরে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধর এবং এর ফলে রক্তক্ষরণে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।

ঘটনা তদন্ত করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুরের পিবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক শরীফুল ইসলাম খান।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: