গঙ্গায় নিখোঁজ জাদুকর ম্যানড্রেকের লাশ উদ্ধার

গঙ্গা নদীর হাওড়া ব্রিজের নিচে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাদু দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ ‘জাদুকর’ চঞ্চল লাহিড়ী ওরফে ম্যানড্রেকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার নিখোঁজের ২৮ ঘণ্টা পর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে ভেসে ওঠে জাদুকরের লাশ। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।

 জাদুকর ম্যানড্রেকের বাড়ি কলকাতার সোনারপুর-রাজপুর পৌরসভার চণ্ডীতলাতে।

রোববার ম্যানড্রেক বিচিত্র জাদু দেখাতে কলকাতার গঙ্গা নদীর হাওড়া ব্রিজের নিচে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ক্রেনের সাহায্যে নদীতে নামিয়ে দেয়া হয়।

নদীর তলদেশ থেকে হাত-পায়ের বাঁধন খুলে আবার নদীতে ভেসে উঠে দর্শকদের চমকে দেয়াই ছিল তার লক্ষ্য। তার এই যাদুটি দেখতে হাজারো দর্শকের সাথে ছিল কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের কাউন্সিলর দেবাশীষ। সাথে তার ১৫ কর্মীও ছিল।

তবে নিদিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও জাদুকর আর নদীর ওপর উঠে না এলে চিন্তায় পড়ে যান এই জাদু দেখতে আসা হাজারো দর্শক এবং কাউন্সিলর স্বয়ং। আবার অনেকেই বলতে থাকেন, নদীর অন্য কোনো জায়গা থেকে ঠিকই উঠে আসবেন জাদুকর।

১৯৯৮ সালে বাক্সবন্দী অবস্থায় তাকে গঙ্গাবক্ষে ফেলে দেওয়া হলে তিনি বাক্স খুলে আসায় তার নাম পুরো কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।

এছাড়াও ম্যানড্রেক হাত-পা বেঁধে সাঁতার কেটে, চোখ বেঁধে গাড়ি-বাস চালিয়ে একাধিকবার কলকাতাবাসীকে চমকে দিয়েছিলেন।

তিনি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাবা–মার সাথে থাকতেন। তার স্ত্রী ঋতা এবং ছেলে দুর্জয় সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

জাদুকরের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে কলকাতার আরেক জনপ্রিয় জাদুকর পিসি সরকার জুনিয়র বলেছেন, জাদু দেখাতে ম্যানড্রেকের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। ওর দুপায়ে ভারী মোজা এবং তার ওপর পট্টি জড়ানো ছিল। ওই ভারী জিনিস পায়ে পরে সাঁতার কাটা যায় না। তাই বাঁধন খুলতে পারলেও সাঁতরাতে পারেননি।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: