নায়ক হিসেবে বিফল যারা, পরিচালনায় সফল তারা

বলিউডে অনেক নায়ক এসেছেন, যারা নতুন করে সাফল্যের জন্য পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন। এর আগে, যখন তারা সিনেমায় নায়ক চরিত্রে হাজির হয়েছিলেন, তখন শুধু ফ্লপের খাতায় তাদের নাম ছড়িয়েছিল। সেই গ্লানি মুছতে নিজের পেশা ছেড়ে ভবিষ্যতে পরিচালনায় নাম লিখিয়েছেন তারা। অবশ্য সেখানে সফলতাও পেয়েছেন।

আজ বাংলাদেশ টাইমস পাঠকদের জানাবো এমনই কিছু ফ্লপ তারকার নাম, যারা নায়ক চরিত্রে কিছু করতে না পেরে বেছে নিয়েছেন পরিচালনার কাজ। তবে এটা সত্যি যে, যখনই তারা নির্মাণে এসেছেন, তখনই তারা বিস্তর সাফল্যও পেয়েছেন।

আরবাজ খান

আরবাজ খান। তিনি হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য সুপরিচিত। যিনি ১৯৯৬ সালে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশের পর থেকে অনেক প্রধান চরিত্রে এবং সহকারী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে সেখানে বেশ একটা ভালো কিছু দেখাতে পারেননি এই অভিনেতা।

পরে আরবাজ নিজের চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা ‘আরবাজ খান’ প্রোডাকশন নির্মাণ করেন এবং ২০১০ সালে তার বড় ভাই সালমান খানকে নিয়ে ‘দাবাং’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নির্মাণ ও প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিটি সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের তালিকায় প্রবেশ করে। এতে তিনি শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় নির্মাতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। এরপর ‘দাবাং’-এর জনপ্রিয়তায় সিকুয়েল ‘দাবাং ২’ পরিচালনা করেছেন আরবাজ নিজেই।

রাকেশ রোশন

বলিউড অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের পিতা রাকেশ রোশন। তার শুরুটাও হয়েছিল একজন ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তবে অভিনেতা হিসেবে তিনি মূলত সঞ্জীব কুমার ও রাজেশ খান্নার অভিনীত চলচ্চিত্রে পার্শ্ব ভূমিকায় কাজ করেছেন। পরে তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে পরিচালনার মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। অভিনয়ে ফ্লপ হলেও এই তারকা পরিচালনায় কুড়িয়েছেন সফলতা। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তার প্রথমদিকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল নাট্যধর্মী ‘খুদগর্জ’, ‘খুন ভরী মাঙ্গ’, হাস্যরসাত্মক-নাট্যধর্মী ‘কিষেণ কানাইয়া’, প্রতিশোধ-নাট্যধর্মী ‘করণ-অর্জুন’।

এরপর রাকেশ রোশন ২০০০ এর দিকে এসে রোম্যান্টিক সিনেমা ‘কহো না পিয়ার হ্যায়’, বিজ্ঞানকল্পকাহিনী নির্ভর চলচ্চিত্র ‘কোই মিল গয়া’ ও ‘কৃষ ১,২,৩’ পরিচালনা করেন। এই সব ছবিতে নায়ক হিসেবে দেখা গেছে নিজের ছেলে ঋত্বিক রোশনকে। যার প্রত্যেকটি ছবিই বক্স অফিসে দারুণ হিট করেছে। এর পর তিনি আরো দু’টো সিনেমা পরিচালনা করেন। একটা যশ ফিল্মসের ব্যানারে ‘প্যায়ার ইম্পসিবল’। আরেকটা হল ‘রোড-সাইড রোমিও’। পরের সিনেমাটি পরিচালনার জন্য রীতিমত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এই কারণে বলা যায়, অভিনয়ে যতটা ব্যর্থ তিনি, পরিচালনায় ততটা সফল পরিচালক।

পূজা ভাট

ভারতের জনপ্রিয় পরিচালক মহেশ ভাট কন্যা ও বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের বড় বোন পূজা ভাট। একসময় তিনিও নায়িকারূপে এসেছিলেন। তার ক্যারিয়ারে ‘সড়ক’ ও ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’র মত সিনেমা আছে। তবে এই সব ছবিতে তেমন কিছুই করতে পারেননি তিনি। পরে পূজা নাম লিখিয়েছেন পরিচালনায়। নির্মাতা হিসেবে এসে তিনি ‘পাপ’, ‘হলিডে’ ও ‘জিসম টু’র মত ছবি নির্মাণ করেন। যা তাকে বেশ জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। এরপর থেকে পরিচালনাকেই পূজা বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে।

 

টাইমস/জেকে/জেডটি

Share this news on: