শরীয়তপুরে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে চার যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মেয়েটির বাবা মঙ্গলবার রাতে শরীয়তপুরের পালং মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ইসলাম ফকির (২২), রাকিব মণ্ডল (২২), সবুজ রাড়ি (২২) ও ইকবাল (২১) নামের চার যুবককে আসামি করা হয়েছে। ওই চার যুবক শরীয়তপুরে চলাচলকারী বাসের শ্রমিক। এর মধ্যে রাকিব মণ্ডলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে পুলিশ।

জানা যায়, জাজিরার একটি গ্রামে থাকত মেয়েটি। রোববার বিকালে তার এক আত্মীয়র বাড়ি যাওয়ার জন্য শরীয়তপুর জেলা শহরের বাস টার্মিনালে আসে সে। সেখানে দেখা হয় পূর্বপরিচিত পরিবহনশ্রমিক ইসলাম ফকির নামের এক যুবকের সঙ্গে। ইসলাম ওই ছাত্রীকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে তার বন্ধু রাকিব মণ্ডল ও সবুজের সঙ্গে অটোরিকশায় তুলে দেন।

রাকিব ও সবুজ মেয়েটিকে নিয়ে মনোহর বাজারে যান। সেখানে কিছু খাওয়ার পর মেয়েটিকে রাকিবের বাড়িতে নেয়া হয়। মেয়েটির মুখ বেঁধে রাকিব ও সবুজ প্রথম দফায় ধর্ষণ করেন। রাতে সেখানে গিয়ে ইসলাম ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। পুনরায় ধর্ষণ করা নিয়ে ইসলামের সঙ্গে রাকিব ও সবুজের কথা-কাটাকাটি হয়। তখন ইসলাম মেয়েটিকে তাদের বাড়ির পাশে শরীয়তপুর বন বিভাগের পুকুর ঘাটে নিয়ে যান। পুকুর ঘাটে নিয়েও মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়।

পরে স্থানীয় এক অটোরিকশাচালক তাদের দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেলে ইসলাম মেয়েটিকে বিয়ে করবেন—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। ওই অটোরিকশাচালক বিষয়টি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের জানান।

এলাকাবাসীর সহায়তায় মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। পরিবহন শ্রমিকেরা অপরাধীদের বিচার করবেন— এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়েটির পরিবারকে থানায় যেতে বাধা দেয়।

মঙ্গলবার রাকিব মণ্ডলকে বাস টার্মিনালে দেখতে পেয়ে শরীয়তপুর আন্তজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক চৌকিদার আটক করে পুলিশে তুলে দেন।

তিন পরিবহনশ্রমিক মিলে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন ও আরেক শ্রমিক তাদের সহায়তা করেছেন। অভিযোগ পেয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার রাকিবকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: