দেশে বিচারিক অরাজকতা চলছে: ফখরুল

প্রায় ২৫ বছর আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা মামলার রায় প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৯৪ সালের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি রায় দেয়া হয়েছে। এই রায়ে জাতি বিস্মিত। এটা কোন ধরনের রায়? দুটো গুলির শব্দ হয়েছে। কারা করেছে, কে করেছে গুলি, সেটা বিতর্কিত। ৯ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। ২৫ জনকে যাবজ্জীবন। দেশে বিচারিক অরাজকতা চলছে। আমরা শুধু হতাশ নই, আমরা বিক্ষুব্ধ এই রায়ে।

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

শেখ হাসিনার ওপর ট্রেনে হামলার রায় বুধবার ঘোষণা করা হয়। রায়ে ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ২৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সবাই বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী।

তিনি বলেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা থাকলে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকবে না।

তিনি বলেছেন, ‘এখন যারা ঐক্যের বাইরে কথা বলবেন, তারা আসলে ক্ষতি করবেন দেশের, দেশের মানুষের। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এগিয়ে আসতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলায় কারাগারে। এ ধরনের মামলায় সবাইকে জামিন দেয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে নাজমুল হুদা, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীরের কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার জামিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশীদ, মহাসচিব আবদুস সালাম, সদস্যসচিব ওবায়দুল কবির প্রমুখ।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: