নাটকীয় জয়ে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপ যাত্রা শুরুর ৪৪ বছর পর সেই ট্রফিটা জিততে পারল ক্রিকেটের প্রচলন ঘটানো এই দেশটি। আর সেই জয় এলো কী নাটকীয়তার ভেতর দিয়ে!

বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফাইনালটি দেখল সোমবার লর্ডস। ফাইনালের প্রথম অংশে নিউজিল্যান্ডের ২৪১ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ২৪১।

এবারের বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনাল টাই হলে শিরোপা নির্ধারিত হবে সুপার ওভারে। অতএব, সুপার ওভার।

সেখানেও রোমাঞ্চের তীব্র দুলুনি শেষে আবার টাই। দু’দলের রান সমান ১৫। নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভারও টাই হলে যে দল বেশি বাউন্ডারি মারবে সেই দলই হবে চ্যাম্পিয়ন।

নিউজিল্যান্ড মূল ইনিংসে ১৬টি বাউন্ডারি মেরেছিল। আর ইংল্যান্ড মেরেছিল ২৪টি। ফলে সুপার ওভারে নিউজিল্যান্ড যত বাউন্ডারিই মারুক না কেন, ইংল্যান্ডকে টপকাতে পারত না তারা।

তাতেই মহানাটকীয় এক ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ড অবশেষে দেখা পেল সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ ট্রফির। তিনটি ফাইনাল হারার দুঃখ সেই লর্ডসেই ভুলল ইংল্যান্ড।

বিশ্বকাপ ফাইনালের দিনটাই হয়তো নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ছিল না। হেনরি নিকোলস ও টম ল্যাথামের দুই ইনিংস ২৪১ রানের যে ছোট সংগ্রহ এনে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে, সেটাকেই অনেক বড় বানিয়ে দিয়েছিলেন বোলাররা।

৮৬ রানের মধ্যে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। এরপরই বাটলার ও স্টোকস হাল ধরলেন। ১১০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরালেন দলকে। এরপরই অবশ্য বাটলার ও ওকসকে ফিরিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন ফার্গুসন। কিন্তু স্টোকস যে ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১/৮ (গাপটিল ১৯, নিকোলস ৫৫, উইলিয়ামসন ৩০, টেইলর ১৫, ল্যাথাম ৪৭, নিশাম ১৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ৫*, হেনরি ৪, বোল্ট ১*; ওকস ৯-০-৩৭-৩, আর্চার ১০-০-৪২-১, প্লাঙ্কেট ১০-০-৪২-৩, উড ১০-১-৪৯-১, রশিদ ৮-০-৩৯-০, স্টোকস ৩-০-২০-০)।

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৪১ (রয় ১৭, বেয়ারস্টো ৩৬, রুট ৭, মর্গ্যান ৯, স্টোকস ৮৪*, বাটলার ৫৯, ওকস ২, প্লাঙ্কেট , আর্চার ০, রশিদ ০, উড ০; বোল্ট ১০-০-৬৭-০, হেনরি ১০-২-৪০-১, ডি গ্র্যান্ডহোম ১০-২-২৫-১, ফার্গুসন ১০-০-৫০-৩, নিশাম ৭-০-৪৩-৩, স্যান্টনার ৩-০-১১-০)।

ফল: ম্যাচ ও সুপার ওভার টাই; বাউন্ডারিতে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

ম্যান অব দা ম্যাচ: বেন স্টোকস

ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: কেন উইলিয়ামসন

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: