ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের রেকর্ড ৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়

ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, অটো, মাহেন্দ্রেসহ ভারী ও হাল্কা যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ে এবার রেকর্ড করেছে ময়মনসিংহ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক পরিদর্শক কাজি আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের ১৪ই আগস্ট পর্যন্ত ময়মনসিংহে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহন থেকে বিপুল জরিমানাসহ রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময়ে এই তিন বাহনের মোট ৬ হাজার ২৯৫ মামলায় জরিমানা আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ৪৫০ টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট ৪ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার ১১ টাকা।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৯ মাসে ৪ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৫১১ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়। অর্থাৎ বিগত ৪ বছরের আদায় করা রাজস্বের তুলনায় গত ৯ মাসেই ২ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। আর গত ৯ মাসে ৩২ হাজার ২৭১টি মামলা দায়ের হয়েছে।

ওই ট্রাফিক পরিদর্শক বলেন, জেলা সদরে অফিসার ও কর্মচারী মিলে ৯২ জন সদস্য নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিসহ যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। জেলা সদরে যানজটের অন্যতম কারণ অবৈধ ইজিবাইক ও ভাঙাচোরা রাস্তা। পাশাপাশি রাস্তায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন যানবাহন নামাচ্ছেন মালিকরা। কিন্তু রাস্তা আগের মতোই সরু। এগুলো মেরামত ও প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেই। ট্রাফিক বিভাগের জনবল দ্বিগুণ করা হলে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হবে এবং যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, নগরে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ৬ মে থেকে শহর এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ি ঢোকা ও মালামাল লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে। ইজিবাইকের চালকের ডান পাশের খোলা অংশ বন্ধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। অতীতে উঠা চাঁদাবাজি বা অন্যান্য অভিযোগ সম্পর্কেও কাউকে ছাড় দেওয়া হয় না। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো আপস করছে না।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন বলেন, আইন ভঙ্গকারী সব যানবাহনের বিরুদ্ধেই জেলা পুলিশ আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখানে ট্রাফিক শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: