রংপুরে এরশাদের মরদেহ

প্রায়ই এখানে আসতেন। সবশেষ এসেছিলেন ৩ মার্চ। মঙ্গলবার আবার এলেন, তবে প্রাণহীন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ নিয়ে তার নিজের এলাকা রংপুরে পৌঁছেছেন তার ভাই জি এম কাদের।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে চতুর্থ ও শেষ জানাজার জন্য এরশাদের মরদেহ আনা হয়। এর আগে রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে এরশাদের কফিন বহন করা হেলিকপ্টার আসে।

জি এম কাদের বলেছেন, রংপুরে জানাজার পর ঢাকার বনানীতে সেনা কবরস্থানেই দাফন হবে বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে।

এদিকে রংপুরে জাপার নেতাকর্মীরা তাকে সেখানেই দাফন করার দাবি জানিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে এরশাদের রংপুরের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচুবাগানে তারা কবরও খুঁড়ে ফেলেছেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ টি ইউ তাজ রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা সিএমএইচ থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। রংপুর সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে এরশাদের মরদেহ গ্রহণ করেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টি নেতা মোস্তাফিজার রহমান।

বাদ জোহর রংপুর ঈদগাহ মাঠে এরশাদের চতুর্থ জানাজা শেষে তার কফিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আসর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কবরস্থানের তাকে সমাহিত করা হবে।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তারা ‘যেকোনো মূল্যে’ এরশাদের মরদেহ রংপুরে রেখে দেবেন।

তার যুক্তি, বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে এরশাদের মরদেহ দাফন করা হলে পরে দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা সে কবরে গিয়ে সহজে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারবেন না। পরে তারা এরশাদের বাড়ি রংপুরের পল্লী নিবাসে কবরও খুঁড়ে রেখেছেন।

এরশাদ নিজেই পল্লীনিবাসের প্রাঙ্গণে শায়িত হতে চেয়েছিলেন- এমন কথাও রংপুরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরে রওনা দেয়ার আগে জি এম কাদের বলেন, উনার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বনানীতে সেনাবাহিনীর কবরস্থানেই তাকে সমাহিত করা হবে। এই কবরস্থান ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হলেও যে কোনো সময় যে কেউ সেখানে যেতে পারে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১০ দিন ঢাকা সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার সকালে মারা যান।

 

টাইমস/এসআই

 

Share this news on: