দুদক ‌‘সুগন্ধ’ ছড়াক আশা হাইকোর্টের

জাহালমকাণ্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের আভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, প্রতিবেদনটি প্রশংসার দাবি রাখে। একজন কর্মকর্তা যথাযথভাবে তদন্ত করেছেন।

দাখিল করা প্রতিবেদনের উপর শুনানিতে মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এ মন্তব্য আসে। আদালত বলেছে, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করে ‘সুগন্ধ’ ছড়াক।

পাশাপাশি দুদকের ২৬ মামলার আসামি পাটকল শ্রমিক জাহালমকে আসামি করার পেছনে দুদক ও বিভিন্ন ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা জড়িত তারা যেন চাকরির টাকা-পয়সা নিয়ে পালাতে না পারে, সেজন্য তাদের উপর নজরদারি করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে জাহালমকাণ্ডের জন্য যাদের দায়ী করা হয়েছে, তাদের বিষয়ে দুদক কী সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আগামী ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে হাই কোর্টকে জানাতেও বলা হয়েছে।

একইভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতেও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদেশের আগে দুদকের অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম বাশার। ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে কৌঁসুলি ছিলেন মো. আসাদুজ্জামান, সোনালী ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন শেখ মো. জাকির হোসেন।

আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২১ অগাস্ট তারিখ রেখেছে।

শুনানির এক পর্যায়ে দুদকের আইনজীবী বলেন, “আমাদের নিয়ে চারদিকে কথা হয়। অনেকেই মনে করে দুদক মানেই দুর্গন্ধ।”

তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এফ আর এম নাজমুল আহাসান বলেন, “আমরা চাই, দুর্গন্ধ না দুদক ‘সুগন্ধ’ ছড়াক।”

কনিষ্ঠ বিচারক কে এম কামরুল কাদের তখন বলেন, “আমরা চাই, দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করুক।”

আদেশের পর দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “তদন্ত রিপোর্টে কোর্ট অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন। এই প্রথম কোর্ট থেকে সমর্থন পেলাম। খুব ভালো লাগল।”

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: