২০২০ সালের মধ্যে ওয়াশিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে: বিজিডব্লিউটিএফ

বিজিডব্লিউটিএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ইউরোপের বাজারে ডেনিম রপ্তানিতে আমরা এক নম্বরে উঠে এসেছি। অন্যান্য বাজারেও আমাদের অবস্থান শক্ত হচ্ছে। ডেনিমে ওয়াশিং খাতের অবদান প্রায় ৪৫ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে একটি ওয়াশিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলছে।

শুক্রবার বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ওয়াশিং টেকনোলজিস্ট ফাউন্ডেশনের (বিজিডব্লিউটিএফ) ১০ বছর পূর্তি উৎসব ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওয়াশিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলাকে সময়ের দাবি উল্লেখ করে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরি করে রপ্তানি বাজার সুসংহত করার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ওয়াশিং খাতের। আশার কথা হচ্ছে, এখন আর এ খাতের জন্য বিদেশ থেকে টেকনোলজিস্ট আনার দরকার হচ্ছে না। দেশেই বিশ্বমানের টেকনোলজিস্ট রয়েছেন। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটি ওয়াশিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এ ব্যাপারে এফবিসিসিআই সার্বিক সহায়তা করবে।

ডেনিম সল্যুশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম সোহেল রানা বলেন, ওয়াশিং টেকনিশিয়ানদের কল্যাণে কাজ করছে বিজিডব্লিউটিএফ। আর এই টেকনিশিয়ানদের নতুন নতুন তথ্য ও কেমিক্যাল দিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছে ডেনিম সল্যুশনস। বাংলাদেশে ডাইস্টার গ্লোবাল লন্ড্রি অক্সিলারিস-এর এজেন্ট কায়জার টেক্সটিল, টার্কির একমাত্র পরিবেশক ডেনিম সল্যুশনস। বাংলাদেশি ওয়াশিং টেকনিশিয়ানরাই এখন দেশের কারখানাগুলোতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।

ডেনিম সল্যুশনস লিমিটেডের স্পন্সরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সভাপতি জাকির হুসাইন লেলিন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান, কায়জার টেক্সটিল'র দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ম্যানেজার উমুত দেমিরতাস, আইটিইটির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার শফিকুর রহমান, বিজিএমইএ'র পরিচালক মুহাম্মদ নাসির, বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: