র‍্যাব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে নিখোঁজ করার অভিযোগ

ঢাকার এক কাঠ ব্যবসায়ী এক মাস ধরে নিখোঁজ। আর এই ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ার জন্য তার পরিবার দায়ী করেছে এক র‌্যাব কর্মকর্তাকে।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন মিরপুরের নিখোঁজ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের(৬০) স্ত্রী নাসরিন জাহান স্মৃতি ও ছোট ভাই খায়রুল আলম।

ইসমাইলের পরিবারের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে অপহরণ করেছেন র‌্যাবের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবির। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।

নিখোঁজ ব্যবসায়ীর পরিবার জানায়, গত ১৯ জুন মিরপুরের বাসা থেকে সকাল ৯টায় বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ইসমাইল। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। পরদিন ছোট ভাই খায়রুল শাহআলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখনও পুলিশ কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।

‘র‌্যাব সদর দপ্তরের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড সিগনাল শাখার পরিচালক রাসেল আহম্মদ কবির র‌্যাবকে ব্যবহার করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার স্বামীকে অপহরণ করেছে। আমার স্বামী বেঁচে আছে কি না, কোথায় আছে সেটা আমরা জানতে চাই’- বলেন নাসরিন জাহান স্মৃতি।

দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাসরিন বলেন, ‘আমার দুইটা শিশু সন্তান, রাতে বাবার জন্য তারা ঘুমাতে পারে না। বাবার অপেক্ষায় তারা সারারাত বাসায় দরজার সামনে বসে থাকে। আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।’

৩৫ বছর আগে র‌্যাবের কর্মকর্তা রাসেল কবিরের বাবা কিশোরগঞ্জের বাজিরপুর থানার কুকরারাই গ্রামের তৎকালীন জাগদল নেতা ফয়েজ আহম্মেদ মিন্টু মিয়া খুনের ঘটনায় তার স্বামী ইসমাইল ১২ নম্বর আসামি ছিলেন, কিন্তু আদালতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন বলে জানান নাসরিন।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নিঁখোজ হওয়ার ৪/৫দিন আগে বলেছিল, সে লোক মারফত শুনেছে, র‌্যাবে রাসেল আহম্মদ কবির তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিতে চায়। এজন্য আমার স্বামী থানায় জিডিও করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই তিনি নিখোঁজ হলেন।’

অভিযোগের বিষয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা রাসেল কবির বলেন, ‘৩৫ বছর আগে আমার বয়স ছিল দুই বছর। তখন আমাদের সাথে কী হয়েছিল, সেটা আমরা পারিবারিকভাবেই ভুলে গেছি। তাই তার জের ধরে কাউকে অপহরণ করার প্রশ্নই আসে না। এসব অভিযোগ সত্য না। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তো তাদের আগে র‌্যাবে অভিযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটাও করেনি।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: